আখাউড়ায় চালককে হত্যার পর অটোরিকশা ছিনতাই

আখাউড়া উপজেলা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় জুয়েল কাজী (১৭) নামে এক চালককে হত্যার পর তার ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ছিনতাই করেছে দুবৃর্ত্তরা। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত গভীররাতে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের টানমান্দাইল এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত চালক জুয়েল কাজী উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের চান্দপুরের (কাজীবাড়ি) আজিজুল হক কাজীর ছেলে।

আখাউড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান যুগান্তরকে জানান, উপজেলার ধরখারের রুটি বাজার থেকে সন্ধ্যায় ছতুরা উত্তর গ্রামের ফেরদৌস মিয়ার ছেলে হানজালা (২১) ও তার তিন বন্ধু মিলে জুয়েল কাজীর  অটোরিকশা ভাড়া করে।

এসময় তারা আখাউড়া-ধরখার সড়কের টানমান্দাইলের দিকে নিয়ে যায়। রাতে উপজেলা মনিয়ন্দ ইউনিয়নের টানমান্দাইল নির্জন এলাকায় নিয়ে জুয়েলকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ পাশে পুকুরে ফেলে রাখে।

অটোরিকশাটি এনে ধরখারের বাবুল কাজীর ছেলে সাফায়েত কাজীর ওয়ার্কশপে বিক্রির চেষ্টা করে ওই তিনজন।

এসময় অটোরিকশাটি দেখে ক্রেতার সন্দেহ হয়। তিনি জুয়েল কাজীর খবরে বাড়িতে ফোন দিয়ে জানতে পারে তিনি বাড়িতে ফেরেননি এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।

বিষয়টি ধরখার ফাঁড়ি থানাকে জানালে পুলিশ সাফায়ত কাজীসহ হানজালাকে আটক করে।

এসময় হানজালাকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জুয়েলকে খুনের কথা স্বীকার করে। পুলিশ তাদের নিয়ে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে পুকুর থেকে জুয়েল কাজীর মারদেহ উদ্ধার করে।

এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে  জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও ওসি জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ এপ্রিল সকালে আখাউড়া-আনোয়ারপুর সড়কের পাশে খালাজোড়া বিল এলাকার একটি ধানের জমি থেকে অটোরিকশাচালক হিরনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত হিরন চৌধুরী উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের রামধনগর গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিম চৌধুরীর ছেলে। পুলিশ এখনও ছিনতাইকৃত অটোরিকশা উদ্ধার কিংবা হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি।