বৈশ্বিক করোনা প্রভাবে বাংগালহালিয়া বাজারে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা লোকসান গুনছে”

চাইথোয়াইমং মারমা – রাংগামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলা একমাত্র ঐতিহ্য দ ক্ষিণ অঞ্চলে ত্রিমুখী সড়ক পাশে বাংগালহালিয়া হাট বাজার অবস্থিত। আজ রবিবার সরেজমিনে বাজারে ঘুরে দেখা যায়,শাকসবজি দোকান,মুডি দোকান, মাছের দোকান কাপড়ে দোকানদার,বিভিন্ন কসমেটিকস দোকান, পান সুপারী দোকানসহ অন্যান্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দোকানদারা ও এই রোগের প্রভাবে সাধারণ ক্রেতারা না আসায় ব্যবসায় কাজে দীর্ঘদিন লোকসান ক্ষতি গুনতে হচ্ছে, পুরো বিশ্ব মহামারী, বাংলাদেশসহ করোনা ভাইরাস রোগ প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি হওয়ায় বিভিন্ন পেশাজীবিদের আয় কমে গেছে।
এখন মুসলিম সম্প্রদায়ে ধর্মীয় রমজাম মাসে যেভাবে ব্যবসায় সব বেঁচা কেনা অনাহারে ব্যাপক হারে বিক্রি হওয়া কথা থাকলেও  কিন্ত বাস্তবে চিত্র বিপরীত দেখা যায়, এভাবে সারাবছর লোকসান ক্ষতি গুনতে থাকলে সাধারণ দোকানদার রা নিজের ব্যবসায় কাজে ব্যয় মূলধনসহ সব হারিয়ে পথে বসবে। সামনে কয়েকদিন পর ঈদের মুসলিম সম্প্রদায় এর বড়  উৎসব ঈদ পালিত হবে। গত বছর  ঈদের দিনে কেনাকাটা এর মধ্যে যেভাবে উপচে পড়া ভিড় ক্রেতা দেখা যেত এই বাংগালহালিয়া বাজারে।
বর্তমানে এই ধরনে পরিস্থিতি  থাকলে লাভ তো দুরে কথা সব কিছু লাখ লাখ পূজি হারিয়ে নি: স্ব হয়ে পড়বে বললে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী প্রতিবেদককে জানান। প্রায় ব্যবসায়ী রা বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী ব্যাংক হতে লোন নিয়ে ব্যবসায় কাজে  পূজি দিয়ে চালায়। অধিকাংশ দোকানদার ঋনের বুঝা নিয়ে বসে আছি। এ ঋণের টাকা কবে সুদ করব জানি না। যা বাংগালহালিয়া হাট বাজার রাজস্থলী উপজেলা এক প্রসিদ্ধ বাজার নাম হিসেবে সবার কাছে সু পরিচিত। আগে প্রতিনিয়ত ধুমধাম বাজারে ক্রেতা ভীরে বেঁচা কেনা চলছে, এখন ভিন্ন রুপ ।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এক কসমেটিকস  বিক্রেতা  বলেন,দৈনিক একহাজার টাকা পণ্য বিক্রি করতে পারেনি। মাসিক দোকান ভাড়া বিদুৎ বিল দিতে হিমসিম খাচ্ছে, আর পরিবার খরচ পোষন কি দিব দিনে কস্ট কাটরে আছি। এতে দৈনিক লোকসান গুনছে। আয় কম ব্যয় খরচ বৃদ্ধি বলে জানান। এ লোকসান হতে কবে পরিত্রাণ পাব জানিনা। জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় একদিকে লক ডাউন ৫ মে হতে ১৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে আন্ত: জেলা দুরপাল্লা বাস চলাচলে স্থগিত।
শহরে বসবাসরত বিভিন্ন পেশাজীবি গার্মেন্টস শ্রমিক হতে শুরু করে সরকারী ও বেসরকারী কর্মচারীরা   ঈদের ছুটিতে নিজের গ্রামে গঞ্জে ঈদ আনন্দ করতে  ঈদের দিনে  পরিবারে আ ত্বীয় স্বজন প্রতিবেশী সাথে ঈদ ভাগাভাগি করতে আন্ত: জেলা বাস চলাচল না থাকায় দুরুহ ভুগান্তি স্বীকার হয়। অনেকে বিভিন্ন ছোট যানবাহন ব্যক্তিগত  ভাড়ায় করে বাড়ি গ্রামে প্রবেশ করতে দেখা যায়। সবাই জানে ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে মহাখুশি, কিন্তু সমগ্র করোনা আকারে ধারন মহামারী প্রকোপে ঈদ আনন্দে মূখরিত তেমন সস্তি দেখা মিলবেনা পরিবারেও।
এই পরিস্থিতি কারনে সব পেশা জীবিদের উপর প্রভাব পড়ে।বাজারে ক্রেতা শূণ্যে বিক্রি তেমন  নাই বললে চলে। ক্রেতারা ফাকা দেখছি। ভবিষৎ তে ব্যবসায়ীরা এত।ক্ষতি  কিভাবে কাটিয়ে উঠবে জানিনা। এক মিস্টি দোকানদার বলেন, খুব বেঁচা কেনা  ঠান্ডা দিন পাড় করে যাচ্ছি। বাজার  সাধারণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রা বেসরকারী ও সরকারীভাবে অার্থিক প্রনোদনা দাবী।