আবু-হানিফ, বাগেরহাট অফিসঃ ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াশ’ আতঙ্কে রয়েছে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরখণলো ও চাঁদপাই রেঞ্জের বনরক্ষীরা। ইতিমধ্যে বঙ্গোপসাগর নিকটবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ ৮টি অফিসের অর্ধশত বন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিরাপদে আশ্রয় নিতে নির্দেশ দিয়েছে বনবিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, বনের অভ্যন্তরে অবস্থানকারী জেলে-মৌয়ালসহ সকল পেশাজীবীকে দ্রুত নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যেতে বলা হয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ অফিসগুলো হচ্ছে শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা জেলে পল্লী টহল ফাঁড়ি, ককিলমুনি, শ্যালা, কচিখালী, চরখালী এবং চাঁদপাই রেঞ্জের তাম্বুলবুনিয়া, জোংাড়া ও ঝাপসি টহলফাঁড়ি।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অফিসগুলোর সকল কর্মকর্তা ও বনরক্ষীকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। অফিসিয়াল গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট, জলযান নিরাপদে স্থানে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, তাদেরকে পর্যাপ্ত শুকনা খাবার ও পানি মজুদ রাখতে বলা হয়েছে। তবে, দুলবাল চর, আলোর কোলসহ সুন্দরবনের ৪-৫টি সাইক্লোন শেসল্টার মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলোর অবস্থা এমন, যাতে মানুষ আশ্রয় নিলে আরো বিপদে পড়বে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি ও জানমালের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আগাম সতর্কতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের ঝুঁকিপূর্ণ ৮টি টহল ফাঁড়ির কর্মকর্তা ও বনরক্ষীসহ ৫০ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। তাছাড়া, সুন্দরবনে অবস্থানকারী পেশাজীবীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে বন থেকে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রপান্তর বাংলা অনিয়মের বিরুদ্ধে, সত্যের পক্ষে
