মুক্তাগাছায় ইমামের বিরুদ্ধে রহস্য জনক ধর্ষন মামলা, জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার তারাটি পূর্বপাড়া গ্রামে একটি জামে
মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা নিয়ে স্থানীয় মুসল্লি ও জগনের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি
হয়েছে। মামলা বা ঘটনা বিষয়ে মসজিদের মুসল্লি ও মসজিদ কমিটির কোন লোকই এবিষয়ে অবগত নয়।
মামলা হওয়ার পর তারা জনতে পারে যে, মসজিদের ইমাম সাহেবের বিরুদ্ধে মুক্তাগাছা থানায় একটি ধর্ষন
মামলা হয়েছে। স্থানীয় জনতা ও মুসল্লিদের মাঝে এ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, তারাটি পূর্বপাড়া জমির হাজী বাড়ী জামে মসজিদের ইমামতি করে আসছিলেন তারাটি চরপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পুত্র ইশ্রাফিল (২৬)। সে মালতিপুর পাথালিয়া মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের শেষ বর্ষের ছাত্র। হতদরিদ্র এতিম ছাত্র ই মসজিদে ইমামতির পাশাপাশি মাদ্রাসায়
লেখাপড়া করতেন। দীর্ঘ ৫বৎসর যাবৎ মসজিদ কমিটির দেয়া মসজিদের বারান্দা সংলগ্ন একটি টিনসেটে থাকতেন। গত ২২ মে একটি ১২ বছর বয়সি মেয়েকে ধর্ষনের অভিযোগে তার মা সেলিনা বেগম বাদি হয়ে মুক্তাগাছা থানায় একটি মামলা করেন।

মামলা নং ১৮, তারিখ ২২-০৫-২০২১ইং। উক্ত ঘটনার বিষয়ে গতকাল বুধবার সকালে ভিকটিমের বাড়িতে গিয়ে মামলার বাদি সেলিনা বেগম, ভিটিমের নানা সোহরাব আলী সুরুসহ তাদের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, গত ২২ মে সকাল ১১টায় ধর্ষনের ঘটনারপর তারা বিষয়টি জেনে থানায় মামলা করেন। ধর্ষনের ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি ও মসজিদ কমিটির সভাপতি, সেক্রেটারি, কোষাধ্যক্ষসহ অন্যান্যদের জানানো হয়েছে কি না জানতে চাইলে তারা জানান, এ ঘটনা তারা কাউকে জানান নি।

এ ব্যাপারে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি খোরশেদ আলম, কোষাধ্যক্ষ মোঃ রফিকুল ইসলাম তারা মিয়াসহ অনেকেই জানান, ইমাম সাহেবের বিরুদ্ধে মামলা করা বিষয়ে তারা কেউ অবহিত নন। মামলার বিষয়টি তারা রহস্য জনক মনে করছেন। তারা জানান, ইমাম সাহেব ভাল মানুষ, ভদ্র ও শান্ত প্রকৃতির লোক। তার বিরুদ্ধে একটি চক্র মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন।

যা মোটেই গ্রহনযোগ্য নয়। তাছাড়া মামালা দিয়ে পরবর্তীতে ইমাম সাহেবের থাকার ঘর থেকে মসজিদের ক্যাসের ট্রাঙ্ক, টিফিন ক্যারিয়ার, মসজিদের ফ্যান ও কিতাব, তার ব্যবহ্রত বিছানাপত্র, কাপড়-চোপড় ও বাই-সাইকেল লুট করে নিয়ে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। এঘটনায় এলাকাবাসীর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এবং সেই সঙ্গে ইমাম সাহেবের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন এলাকাবাসী।