ময়মনসিংহ থেকে সিরাজুল হক সরকার: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্বামীর
নির্দেশে গৃহবধুকে দুতলা থেকে ফেলে হত্যার চেষ্টা। গুরুতর আহত অবস্থায় এলাকাবাসী গৃহবধুকে উদ্ধার
প্রথমে মুক্তাগাছা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে
রেফার্ড করা হয়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুরুতর আহত গৃহবধু রিমু আক্তার (২১) মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৪ মে বিকেলে মুক্তাগাছা পৌর শহরের ল²ীখোলা এলাকায়। জানা যায়, জামালপুর
সদর উপজেলার বন্ধুরা গ্রামের রফিজ উদ্দিনের কন্যা, ময়মনসিংহ মোমিনুন নেছা মহিলা কলেজের ইংরেজী
অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী রিমু আক্তারকে মুক্তাগাছা শহরের ল²ী খোলা এলাকার আবু তাহেরর পুত্র ওয়াসেক
ফয়সালের কাছে ১৪ মাস আগে বিয়ে দেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে উক্ত ওয়াসেক যৌতুকের স্ত্রীকে
বিভিন্ন সময় চাপ দিতে থাকেন। চাপের মুখে রিমু গরিব পিতার কাছ থেকে ১০ হাজার ্ধসঢ়;টাকা করে ৩ বারে ৩০ হাজার টাকা স্বামীকে এনে দেন। কিন্তু এতেও স্বামী, শাশুড়ী, ননদ শান্ত হাতেপারেন নি।
যৌতুকের টাকার জন্য তার ওপর বিভিন্ন সময় শারিরীক ও মানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। অবশেষে গত
২৪ মে বিকেলে বাড়ির দু তলার ছাদে স্বামী ওয়াসেক ফয়সাল, শাশুড়ী ফিরোজা বেগম ও ননদ তানজিমা
আক্তারের যৌতুকের বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়। স্বামী ফয়সাল তার মা ও বোনকে লাথি মেরে দু তলা থেকে
ফেলে হত্যার হুমকি দিয়ে নিচে নেমে আসে। এর কিছুক্ষণ পর সত্যিই শাশুড়ী ফিরোজা বেগম ও ননদ
তানজিমা আক্তার দু তলা থেকে রিমুকে লাথি দিয়ে ফেলে দেয়। তার আর্তচিৎকারে এলাকাবাসী দৌড়ে
এসে তাকে প্রথমে মুক্তাগাছা হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বর্তমানে গৃহবধু রিমু ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন
রয়েছে।
এ ব্যাপারে রিমুর খালা বানেছা বেগম বাদী হয়ে গতকাল বুধবার বিকেলে মুক্তাগাছা থানায় একটি
অভিযোগ করেন।
