ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: উদ্ধার ও ত্রাণসহায়তায় নৌবাহিনীর ১৮ যুদ্ধজাহাজ

অনলাইন ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১৮টি যুদ্ধজাহাজ, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও হেলিকপ্টার প্রস্তুত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী জরুরি উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তিন স্তরের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

এই পরিকল্পনা অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ নদীপথ, উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র এলাকার চট্টগ্রাম, মংলা, বরিশাল, ঝালকাঠি, বরগুনা, পটুয়াখালী, খুলনা, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সেন্ট মার্টিন্সে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধারকার্যের জন্য নৌবাহিনীর ১৮টি জাহাজ প্রস্তুত রয়েছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট এবং হেলিকপ্টার সমুদ্র এলাকায় উদ্ধার অভিযান সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

দেশের উপকূলীয় এলাকায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মোতায়েনকৃত সব কন্টিনজেন্ট জনস্বার্থে বিভিন্ন সতর্কতামূলক প্রচার-প্রচারণা পরিচালনা করছে। তাছাড়া বিপদসংকুল এলাকাসমূহ থেকে স্থানীয় জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরিয়ে নিতে স্থানীয় প্রশাসনকে সার্বিক সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে। এছাড়া নৌবাহিনীর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অতিরিক্ত ত্রাণ প্রস্তুত রাখাসহ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে ত্রাণ সংকুলানের জন্য প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হয়েছে। জরুরি চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য নৌবাহিনীর মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করা হয়েছে। পাশাপাশি ভাসানচরে বসবাসরত বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদেরকে ভাসানচরেই পূর্বনির্ধারিত ঘূর্ণিঝড় নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে এবং ভাসানচরে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী, লাইফ জ্যাকেট ও এক মাসের শুকনা খাবার মজুত রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী সদর দপ্তর ও সব আঞ্চলিক কমান্ড কর্তৃক ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি সার্বক্ষণিক নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। —আইএসপিআর