আমিনুল ইসলামঃ রাজধানীর কদমতলী থানাধীন দক্ষিণ দনিয়া ৮২২ নুরপুর এর বাসিন্দা হাজি সেরা উদ্দিন রিপনকে হত্যার পরিকল্পনা ফাঁস। জানা গেছে পার্শ্ববর্তী একটি পুরাতন ভবন ক্রয় করার লক্ষ্যে হাজী সেরা উদ্দিন রিপন ৬৫ লাখ টাকা বায়না করেন হাসিবুর রহমান লিটন গাজীগংদের সাথে । বায়না অনুযায়ী জমি রেজিস্ট্রি করে না দিয়ে হাজী সেরা উদ্দিন রিপনকে হত্যার পরিকল্পনা করে লিটন গাজী। কিলিংক কন্টাক্টের একজন এ তথ্য ফাঁস করে দেন। এ ঘটনায় সেরা উদ্দিন রিপন কদমতলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
হাজী সেরা উদ্দিন জানান, ১১ লাখ টাকা স্ট্যাম্প বায়না, ৫৪ লাখ টাকা ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে বায়না দেয়া হয়। এরপর থেকে তারা জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়ে সময়ক্ষেপণ করেন। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে এবং থানা পুলিশের মাধ্যমে দেন-দরবার করার পরেও জমির দলিল করে দেয়ার ক্ষেত্রে নানা টালবাহানা করেন।
হত্যা পরিকল্পনাকারীদের একজন জানায়, হাজী সেরা উদ্দিনকে হত্যা করার লক্ষে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে একটি পিস্তল ক্রয় করে এবং কয়েকজন পেশাদার খুনিকে কন্টাক করে। খুনিদের একজন হাজী সেরা উদ্দিনের মেসেঞ্জার ও মোবাইল ফোনে একাধিকবার হত্যা পরিকল্পনা কথা ফাঁস করে দেয়। সে বিনিময়ে এক লক্ষ টাকা দাবি করে।
এমন সংবাদ পেয়ে হাজী সেরা উদ্দিন ও তার পরিবার আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত যাপন করছে । এ বিষয়ে রিপন কদমতলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। হত্যার পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে অন্যতম হাসিবুর রহমান গাজী (লিটন) ও বোন জামাই ১,আমির হোসেন ২, মতিন ৩, গাফফার।
বায়নার টাকা গ্রহণকারীরা হলেন মাহমুদা, স্বামী সৈয়দ আমীর হোসেন , মাসুদা খাতুন, স্বামী মোঃ আব্দুল গাফফার , মাকসুদা খাতুন ,স্বামী মিজানুর রহমান , মহিমা খাতুন ইতি ও মেহেরুন নেসা, পাঁচ বোন হাজি সেরা উদ্দিনকে জমি সাফ কবলা না দিয়ে রিপনকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে হাজি সেরা উদ্দিন গত ২৫ মে ২০২১ তারিখ রাজধানীর কদমতলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন । তিনি উল্লেখ করেন যে একটি অজ্ঞাত নাম্বার থেকে মেসেজ দিয়ে বলা হয় হাজি সেরা উদ্দিনকে অস্ত্র এবং মাদক দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়া হবে অথবা সন্ত্রাসী ভাড়া করে তাকে হত্যা করা হবে। এমত অবস্থায় হাজি উদ্দিন তার নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে নিয়ে এসে থানায় জিডি করেন জিডি নম্বর ১২২৯।