আব্দুল কাদের রুপান্তর বাংলা- নদী-নালা খাল-বিল পাহাড় ঘেরা রুপের রানী ক্ষেত
গিরিবন্ধু এলাকা পার্বত্য চট্টগ্রামে সহজ, সরল পাহাড়ী বাঙ্গালী সর্বসাধারণের বসবাস গহীন পাহাড়ের জঙ্গলে কঠোর পরিশ্রমে জীবিকা/ জীবন কাটছে পার্বত্য বাসির। দুঃখের বিষয় ব্রিটিশ বিধি অনুযায়ী হেডম্যান প্রথা আজও বিদ্যমান রয়েছে। বিধিমতে হেডম্যান বলতে পার্বত্য মৌজা প্রধানকে বুঝায়। যিনি প্রজাসাধারণের পাহাড় ভূমির খাজনা আদায় করে থাকেন। এর বাহিরেও অলিখিত কিছু এখতিয়ার রয়েছে যাহা সরকারও সমর্থন করেন। জমি-জমা ক্রয় বিক্রয়ের ব্যাপারে আছে হেডম্যানের হস্তক্ষেপ। খাস জমি বন্দোবস্তীতে রয়েছে তাহার সুপারিশ বিশেষ একটা অর্থ দিতে হয় মৌজা হেডম্যানকে। যার কোন নিয়ম নীতি এমন কি সরকারি স্বীকৃতিও নাই । প্রয়োজনের তাগিদে যখন যাহা খুশি তাহা দাবী করে। দিতে বাধ্য সহজ সরল প্রজা সাধারণ। অভাবে পরে জমি জমা বিক্রয় করিতে গেলে
কখনো বিক্রয় মূল্যের ৬% কখনো বা ১০% গুনতে হয় বিক্রেতার। খাস দখলীয় জমি বন্দোবস্তী পাইতে হেডম্যানের সুপারিশ আনতে দিতে হয় হেডম্যানকে বড় অংকের উপটৌকন, না হইলে সুপারিশ মিলবেনা। এই অবৈধ সুযোগ সুবিধা লোপাটে সহযোগী সহচর হয় রাঙ্গামাটিজেলার রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া
পূন: র্বাসনজোনের স্ব-ঘোষিত কানুনগো ফজলু, পিতা-মৃত- বাবর আলী,
এলাকার জমি জমা মাপ যোগ করা সীমানা নির্ধারণ বিভিন্ন কাজে হেডম্যানের সহযোগি হয়ে কাজ করেন। এই স্বঘোষিত কানুনগো। কানুনগো পদটির তাৎপর্য্য সাধারণ মানুষ ৯০% লোকে বুঝেনা। তারা জানে জমি জমা মাপযোগ ভাগ বন্টন সীমানা নির্ধারণ ইত্যাদি কাজ কানুনগো করেন। কিন্তু স্ব- ঘোষিত কানুনগো ফজলু সেই কানুনগো নহে। জানাযায় শিক্ষাগত যোগ্যতায় ৩য়শ্রেণি পাশ। জমি জমা জরিপ সংক্রান্তে
একাডেমিক কোন শিক্ষা নাই। জরিপ বিদ্যানিকেতনের বারান্দায় কোন দিন পা রাখেনি। তিনি খ্যাত নামা কানুনগো হিসাবে পরিচিত সর্বসাধারণের মাঝে। এলাকার খাস জমি বন্দোবস্তী নিতে ফজলু কানুনগোকে হাজার হাজার,লক্ষ টাকা গুনতেহয় বসতভিটা ও গৃহহীন হারা ব্যক্তিদের ।যাহা ভাগ হয় কানুনগো ফজলু , হেডম্যান সহ সঙ্ঘবদ্ধ একটি চক্রের মধ্যে।
কে এই ফজলু আমিন
বিএনপি জামাতের অনুসারী
পৈত্রিক বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা, নালিতাবাড়ী উপজেলায়, স্ত্রীর নাম রহিমা বেগম বড় ছেলের নাম রফিকুল ইসলাম, মেজো মেয়ের নাম মাজেদা বেগম,ছোট মেয়ের নাম, নাছিমা বেগম।
এক ছেলে দুই মেয়ে, বর্তমান ছেলেমেয়ে তিনজনেই বিবাহিত, মজার বিষয় হলো তিনজনেরই শ্বশুরবাড়ি বিএনপি-জামাত অনুসারী এবং নেতা।
অভাব-অনটনের সংসার ছিল তার এক বেলা খেলে আরেক বেলা না খেয়ে থাকত সংসারের দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে না পেরে সেটেলার হিসেবে পাড়ি জমান রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার সফিপুর গ্রামে।
১৯৮৩ /৮৪ সনে বাঙ্গালহালিয়া পুনর্বাসন জোনে এসে প্রায় মানুষের বাড়ি,নির্মাণে ডেলি লেবার হিসাবে কাজ করতো। প্রতিদিন কাজ না পেলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বান্দরবন জেলার রাজবিলার মোসলেম বুড়া নামের ব্যক্তির বাড়ির পাশে গিয়ে গাছ কেটে তা বাজারে বিক্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করতো, রাস্তা মেরামত/ শ্রমিক, হিসাবে ছিলো যার পথ চলা সে ব্যক্তি 2021 সনে হয়েছে কোটি কোটি পতি
হেডম্যান, কানুনগো ফজলু খড়/ছনের ঘর বাশের খুটি থেকে বর্তমানে চট্টগ্রাম মহানগরেও বহুতল বিশিষ্ট ভবনের মালিক। সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে ভুলপথে মাপযোগ করে হাতিয়ে নিয়েছে কোটিটাকা ২০০ একরের অধিক খাস জমি দখল দিয়ে বিভিন্ন জনের নিকট
বিক্রি করে অবৈধপতে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আঙ্গুল ফুলে হয়েছে কলাগাছ।
সাধারণ প্রজাদের মধ্যে সীমানা নিয়ে দ›দ্ব বাঁধিয়ে কানুনগো, হেডম্যান
বিচার বসিয়ে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। বুদ্ধি খাটিয়ে নিজের দখলে কোন
জমি রাখেনি, সবই বিক্রি করে দিয়ে চট্টগ্রামে ফ্লাট বাড়ী নিয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় বর্তমান যে বাড়ীতে থাকেন। সে জায়গাটি জনৈক রেজাউল আলমের দখলীয় জায়গা, জবর দখল করে
সেখানে পাঁকা ঘর বাড়ী দোকান বাজার বসিয়েছেন। কোটি টাকার সম্পদ
থেকে রেজাউল আলমকে উচ্ছেদ করে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে পাকাপোক্ত কাগজ করেছেন নিজের নামে। বর্তমানে পূর্বের হেডম্যান মৃত্যুর পরে তার
চাচাত ভাই স্ব-ঘোষিত হেডম্যান সেজে, স্ব ঘোষিত কানুনগোকে নিয়ে
অবৈধ ভাবে সাধারণ প্রজাদের ভূমিহীন করে তাদের জায়গা বিভিন্নজনের নিকট
বিক্রি করে লাখো কোটি টাকার মালিক হয়েছে। সাধারণ প্রজাগণ মুখ খুলতে
সাহস পাচ্ছে না। তাদের সিন্ডিকেট খুবই শক্ত সবল, বিনা পরিশ্রমে
প্রতারণা করে কোটি টাকা কামান যায়। ইহা দেখে এদের সাথে যোগ দিয়েছে
দুই একজন জন প্রতিনিধি। তাহারা মিলে খাস জমি রেকর্ড বানিয়ে দেয়।
রেকর্ডীয় জমি খাস দেখিয়ে তাহারা দখলে নিয়ে যায়। বাঙ্গালহালিয়া পুনর্বাসন
জোনের মজিবর, পিতা- হামেজ উদ্দিন, তার নামীয় ৩৯৬৮ দাগের রেকর্ডীয় ৩৯৬৮
দাগের রেকর্ড ভুক্ত জমি স্ব- ঘোসিত কানুনগো ও সিন্ডিকেট মিলে তৃতীয়
লোকের নিকট বিক্রি করে ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে দখল দিয়ে দেয়। বর্তমানে জমির
মালিক বিচারধীন আছে। এমনি ভাবে এই স্ব-ঘোষিত কানুনগো এবং তার
সিন্ডিকেট যোগ সাজসে শত শত লোকের রেকর্ডভূক্ত জমি ও বন্দোবস্তি আবেদীত
জমি এই সিন্ডিকেট মিলে বিক্রি করে জায়গা মেপে দখল ও বুঝিয়ে দেওয়াই হলো এদের কাজ। পূনর্বাসন জোনের সহজ সরল বীরমুক্তিযোদ্ধা নেয়ামত আলী (গেজেট নং ৫৬১৩) প্রাক্তন ভি.ডি.পির পিসি তাকে ভূমিহীন করেছে, সরকার কর্তৃক প্রাপ্ত ৫ একর জায়গার কবুলাত কে কলম দিয়ে কেটে ২ একর করেছে,3 একর জায়গা বহিরাগত কিছু লোকের নিকট বন্দোবস্তি এনে দিবে বলে মোটা অংকের টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে, বীরমুক্তিযোদ্ধা নিয়ামত আলীর দখলকৃত জায়গাটি স্বঘোষিত ফজলু আমিন ও স্থানীয় ৫/৭ জন ব্যক্তি জোর করে মেপে অন্যদেরকে বুঝিয়ে দেয় ।
উক্ত বিষয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা নেয়ামত আলী রাঙ্গামাটিজেলার মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয় এর নিকট একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন এই স্ব-ঘোষিত কানুগো এবং তার সিন্ডিকেটের কবলে পরে অনেকেই
নিজের বসত বাড়ীটুকু হাড়িয়েছে। প্রতিবাদ করার মত সাহস নাই,
মুখ খুললে মিথ্যা কাগজ পত্র বানিয়ে এই সিন্ডিকেটমিলে যদি মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়(চলমান,,,, চোখ রাখুন আগামী সংখ্যায়)