এ দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, গৌরীপুরে গত তিনদিনে ৩০টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ ২০ জন। অর্থাৎ শনাক্তের হার ৬৭ ভাগ। বৃহস্পতিবার ৯টি র্যাপিট টেস্ট এর মধ্যে করোনা পজেটিভ ৩ জন বলে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ উপজেলায় এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৯৪টি। এরমধ্যে করোনা পজেটিভ রোগী সনাক্ত হয়েছে ১৩৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছে ৪৪ জন। সুস্থ্য হয়েছেন ৮৮ জন। এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন চারজন। ।
গৌরীপুর উপজেলার গ্রামগুলোতে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নানা উপসর্গ। তাদের বেশিরভাগ লোক পরীক্ষা করানো ও ডাক্তার দেখাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তবে সচেতনদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন, এ উপজেলায় কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং এবং অ্যান্টিজেন টেস্ট বাড়াতে হবে। আর স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, উপজেলায় হঠাৎ বেড়ে গেছে সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। উপসর্গ থাকলেও বেশিরভাগ মানুষ করোনা পরীক্ষায় তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। ফলে দিনের পর দিন করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি বেড়েই চলেছে এ উপজেলায় ।
বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সিধলা এলাকার আবুল কাশেম নামে এক ব্যক্তি বলেন, এটা ‘সিজন্যাল জ্বর, করোনা না! আবুল কাশের মতো একই অবস্থা ডৌহাখলা গ্রামের শরিফুলের। কয়েক দিন ধরে তিনিও জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভুগছেন। করোনা পরীক্ষা করাননি। শরিফুল বলেন, ‘ঠান্ডা জ্বর তো প্রতিবছরই হয়।’ তার আশপাশের প্রায় সব বাড়িতেই জ্বর, ঠান্ডা ও সর্দি-কাশিতে ভুগছেন অনেকে। আবুল কাশেম ও শরিফুলের মতো করোনা উপসর্গ থাকলেও পরীক্ষা না করিয়ে ঘুরছেন গ্রামের অসংখ্য মানুষ।
উপজেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক ডা. রবিউল ইসলাম বলেন, গত মে মাসের শেষের দিক থেকে জুন মাস জুড়ে উপজেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গ্রামগুলোর প্রতিটি বাড়িতেই জ্বর-সর্দি নিয়ে কেউ না কেউ চিকিৎসা নিচ্ছেন। উপসর্গ দেখা দিলেই যে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে- এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগে ওয়ার্ড পর্যায়ের কর্মীরা প্রচার চালাচ্ছেন। আশা করি উপজেলা প্রশাসন-পুলিশ প্রশাসনসহ অন্য সব বিভাগের সমন্বিত প্রচেষ্টায় উপজেলার করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব। তিনি আরো বলেন, শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত রোগী আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। ফলে সামাজিক বিড়ম্বনার ভয়ে অনেকেই করোনা পরীক্ষা করতে চান না।