চট্টগ্রাম শহরে বিস্ময়কর স্থাপনাঃ

মাটির মটকার উপর ২শ বছর দাঁড়িয়ে ছিল হাজার বর্গফুটের দ্বিতল ভবন। বিস্ময়কর হচ্ছে মটকার উপর ২২ ইঞ্চি ইট সুকির আস্তর ছিল। ভবনের দেয়ালও ২২ ইঞ্চি পুরু। ঘরের মাঝখানে কুয়া। কুয়াতে এখনো বিশুদ্ধ পানির ধারা। প্রথম দিকে শ্রমিকদের সাবলের আঘাতে বেশ কয়েকটি মটকা ভেঙ্গে গেলেও পরে সবগুলো মটকা অক্ষত অবস্থায় তোলার চেষ্টা চলছে। ভবনটির মেঝের তলায় আনুমানিক ২শ মটকা আছে বলে ধারণা করছেন নির্মাণ শ্রমিকরা।

চট্টগ্রামের বনেদি জাহাজ ব্যবসায়ী শরিয়ত উল্লাহ ২শ বছর আগে বার্মার রেঙ্গুনে ব্যবসা করতেন। তিনি মাটির মটকা ইট চুন ও সুরকি দিয়ে উক্ত ভবন তৈরি করেছেন বলে শরিয়ত উল্লাহ’র প্রপৌত্র আবুল মনসুর জানান।

খবর পেয়ে চুয়েটের প্রাক্তন ভিসি ও চট্টগ্রাম ওয়াসার চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম ভবনটি পরিদর্শন করেন। তিনি ভূমিকম্প ও জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা করতে এই মাটির মটকা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় বলে মনে করেন। তবে ২শ বছর ধরে হাজার টন ওজনের ভবন মাটির মটকা কিভাবে ধারণ করেছে তা পরীক্ষা ও গবেষণা করে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র থেকে এই বিশেষ মটকাগুলো প্রত্নসম্পদ হিসাবে সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহন করেছে। সংগঠনের চেয়ারম্যান আলীউর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ২শত বছরের পুরানো মটকাগুলো এখনপ্রত্ন সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে। ২০১৫ সালের প্রত্ন আইনে স্থাবর সম্পত্তি ১০০ বছর ও অস্থাবর সম্পত্তি ৭৫ বছরের পুরানো হলে তা প্রত্ন সম্পদ হিসাবে বিবেচিত হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এগুলো রক্ষা করে আগ্রাবাদ জাতি তাত্বিক যাদুঘরে সংরক্ষণ করতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।