নড়াইলে অধিকাংশ দোকানের শাটার খুলে ব্যবসা চলছে। পথচারীদের দেখে কি নিবেন, কিছু লাগবে এভাবেই আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন দোকানের সামনে দাড়িয়ে দোকান
কর্মচারীরা। এতে সাড়া দিয়ে অনেকেই অর্ধেক নামানো সাটারের নিচ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করছেন। এভাবে মাথা নিচু করে আসা-যাওয়া চলছে। করছে কেনাবেচা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নড়াইলের বিভিন্ন বাজারে ঘুরে এমন দেখা গেছে।
নড়াইলে সর্বাত্মক লকডাউনের মধ্যে জরুরি সেবা ও
নিত্য প্রয়োজনের দোকান ছাড়া বাকি সব বন্ধ রাখতে বলেছে সরকার। এই বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি কাজ করছে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত
পরিচালনা করছেন। এর মধ্যেই লুকিয়ে লুকিয়ে কেনা-বেচা চলছে।
বাজারে পাইকারি ও খুচরা অধিকাংশ দোকানে একটি শাটার অর্ধেক তুলে ব্যবসা চলছে। প্রতি দোকানের সামনে একটি কর্মচারী ক্রেতাদের অপেক্ষা করছে। সামনে দিয়ে কেউ গেলেই তারা হাঁক ছাড়ছেন, কি নিবেন কি লাগবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে করোনার জন্য দোকানপাট বন্ধ রাখতে হয়েছে। এতে দফায় দফায় লোকসান হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে দোকান খুলেছেন। বিপনি-বিতান ও মার্কেটগুলো বন্ধ থাকলেও এভাবে অর্ধেক শাটার তুলে অনেক জায়গায়ই কেনা-বেচা হচ্ছে। পাড়া-মহল্লায় গভীর রাত পর্যন্ত দোকানের একটি শাটারের অর্ধেক বা বসত- বাড়ির মধ্যে ব্যবসা চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহলে এলেই ঝটপট শাটার নামিয়ে ভেতরে বাতি নিভিয়ে ফেলেন দোকানি।
এদিকে চলমান লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পর রাস্তাঘাটে যানবাহনের সংখ্যা আরও বেড়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাজার এলাকায় যানবাহনের ভিড় দেখা গেছে। এমনকি রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকারে কিছু সময়ের জন্য রাস্তায় যানজট দেখা গেছে। সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। প্রধান প্রধান সড়কের চলাচলের সময় বেশিরভাগ মানুষ মাস্ক পড়ছে না। পাড়া-মহল্লায় অযথা রাস্তা ও দোকানপাটে আড্ডাবাজির পাশাপাশি মাস্ক পরার প্রবণতাও কম দেখা যাচ্ছে। এদিকে নড়াইলে করোনায় আরও ৩জন মৃত্যুবরণ করেছেন। ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৯১ জন। ১৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্তের হার ৪৫.৭২শতাংশ।হাসপাতালগুলোতেও প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে শুধু নড়াইল সদর হাসপাতালে করোনা এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৬৫জন। জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছে ৫৭জন। চলতি জুলাই মাসে করোনায় মারা গেছেন ১০জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৪শ ৮৬জন।
রপান্তর বাংলা অনিয়মের বিরুদ্ধে, সত্যের পক্ষে
