নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জঙ্গি আস্তানা থেকে তিনটি বোমাসহ (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস-আইইডি) বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। এসময় তিনটি আইইডি ঘটনাস্থলেই নিষ্ক্রিয় করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা।
এসময় একজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান। তবে তদন্তের স্বার্থে তার নাম-পরিচয় জানাননি তিনি।
রোববার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শ্বাসরুদ্ধকর এ অভিযানে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকার মিয়াবাড়ির মসজিদের পাশের একটি কক্ষ থেকে এসব সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।অভিযান শেষে সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান রুপান্তর বাংলা- বলেন, নব্য জেএমবির সামরিক বাহিনীর সদস্য হয়ে কাজ করছিলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে ডেভিড কিলার। গত ১৭ মে নারায়ণগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের বক্সের সামনে থেকে একটি শক্তিশালী আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) উদ্ধার করা হয়। পরে এ ঘটনায় মামলা হলে তদন্তের ভিত্তিতে রোববার ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে একটি মোটরসাইকেলসহ আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেয়ার তথ্যের ভিত্তিতে সন্ধ্যায় আড়াইহাজারের নোয়াগাঁও এলাকার মিয়াবাড়ির মসজিদের পাশে তার জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় সিটিটিসি। জঙ্গি আস্তানা থেকে তিনটি শক্তিশালী আইইডিসহ বিপুল পরিমাণ বোম্ব তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে এবং তিনটি আইইডি ঘটনাস্থলেই নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে ডেভিড কিলার মিয়াবাড়ির মসজিদের মোয়াজ্জিন হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানান সিটিটিসি প্রধান। তিনি বলেন, তিনি (আব্দুল্লাহ আল মামুন) দীর্ঘদিন ধরে নব্য জেএমবির জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। জেএমবির সামরিক বাহিনীর হয়ে বোম্ব তৈরি ও বিস্ফোরণের পরিকল্পনার কাজ করে আসছিলেন। তবে কোনো আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত কি-না তা জানা যায়নি বলেও জানান সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।
আরও একটি জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়া গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা মামুনের দেয়ার তথ্যের ভিত্তিতেই আরও একজনকে গ্রেফতার করি। পরে তার দেয়ার তথ্যের ভিত্তিতেই মদনপুরের কাজিপাড়া এলাকায় আরও একটি জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাই। ইতোমধ্যেই আমাদের অন্য একটি টিম ও জেলা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে।
