কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন সমুদ্র সৈকত থেকে ট্রাকে ভরে বালু কেটে নিয়ে যাচ্ছে সিকদার রিসোর্ট এন্ড ভিলাস কর্তৃপক্ষ। সৈকতের এ বালু নিয়ে তাদের নিজস্ব গরুর খামার ভরাট করা হচ্ছে বলে জানান বালু শ্রমিকরা। কোন প্রকার অনুমতির তোয়াক্কা না করেই বীরদর্পে এ বালু কেটে নেয়া হচ্ছে। স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিস এ বালু কেটে নেওয়ার বিষয়ে কিছুই জানে না। সৈকত থেকে বালু নেয়া নিষেধ থাকলেও সিকদার রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ এ নিষেধ মানছেন না। বালু কেটে নেওয়ায় ঝুঁকিতে ফেলছে সৈকত এলাকা। সিকদার রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের এমন কর্মকান্ডে হতবাক স্থানীয়রা। তাদের মতে কুয়াকাটা সৈকতসহ জাতীয় উদ্যান বালু ক্ষয়ের কারনে ঝুঁকিতে রয়েছে। সিকদার রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ বালু কেটে নেওয়ার ফলে আরও ঝুঁকিতে পরবে সৈকত এলাকা। কুয়াকাটায় প্রভাবশালী বিনিয়োগকারী সিকদার রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সৈকত লাগোয়া সরকারী জমি দখলসহ পাকা স্থাপণা নির্মাণের অভিযোগ থাকলেও রহস্যজনক কারনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না জেলা প্রশাসন। প্রভাবশালী এই বিনিয়োগকারীর বিরুদ্ধে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, সিকদার রিসোর্ট এন্ড ভিলাস কর্তৃপক্ষ সরকারী জমি দখলসহ ট্রাক ভরে বালু কেটে নিলেও প্রশাসন নিরব রয়েছে। বুধবার বিকেলে সরেজমিনে গেলে দেখা যায় সিকদার রিসোর্টের লোগো সম্মিলিত ট্রাকে বালু কেটে ভরছে। বালু কাটার কাজে নিয়োজিত ট্রাক চালক রাসেল ও রফিক বলেন, সিকদার রিসোর্ট’র জনৈক ইঞ্জিনিয়ারের নির্দেশে বালু কেটে নিচ্ছে তাঁরা। রাসেল ও রফিক আরও জানান, সমুদ্রের মাঝেও সিকদার রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের জমি রয়েছে। এব্যাপারে সিকদার রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মাদ শহিদুল হক বলেন, মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদারকে পাঠিয়ে সিকদার রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের বালু কাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এরপরও যদি তারা সৈকত থেকে বালু নেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে
