ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার দুল্লা ইউনিয়নের
ইচাখালী বাজারে ব্যাক্তিগত আক্রোস ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ব্যাক্তি
মালিকানা জমিতে নির্মানাধীন বিল্ডিং ভেঙ্গে ফেলল সন্ত্রাসীরা। এ নিয়ে
এলাকায় ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। জানাযায়, মলাজানী মৌজার ইছাখালী
বাজারে আরওআর দাগ নং-১৫৪ জমির পরিমাণ-১.৩৭ একর। জমিটি বিআরএস
জরিপ সম্পন্ন হয়। উক্ত জমির ১০ শতাংশের মালিক হাজি সেকান্দর আলী ও ৫
শতাংশের মালিক আজাহার আলী তারা দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর যাবত উক্ত জমি ভোগ দখল
করে আসছেন। উক্ত জমির দক্ষিণে মোজাফফর আলীর জমি। সেখানে বিশ বছর
পূর্বে মোজাফফর আকাশি গাছের বাগান করেছেন যাহা দৃশ্যমান। উক্ত জমির
উত্তরে আলমগীর কবির ও পূর্বে সরকারি রাস্তা। মোজাফফরের সাথে জমির
সীমানা নিয়ে আজাহারের সম্প্রতি বিরোধ দেখা দিলে বিষয়টি সহকারী
কমিশনার (ভূমি) বরাবরে অভিযোগ হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সহকারী
কমিশনার ভূমি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও দুল্লা ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি
কর্মকর্তা কে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক নিষ্পত্তি করার দায়িত্ব দেন। সে
প্রেক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যান ও উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা সরেজমিনে
গিয়ে আজাহার এবং মোজাফফর ও তার বড় ভাইয়ের দেখানো সীমানা এবং উভয়ের
পক্ষের সম্মতিতে জমির সীমানা নির্ধারণ করে খুটি স্থাপন করে আসেন বলে
ইউপি চেয়ারম্যান জানান। গতকাল বুধবার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)
ইছাখালী এলাকায় সরকারি রাস্তা উদ্ধার করতে যায়। এ সময় সহকারী কমিশনার
ভূমি সেকান্দর হাজী সেকান্দর আলীকে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের
বিষয়টি নিজেরা থেকে মাপযোখ করে মিমাংশা করার পরামর্শ দিয়ে চলে
আসেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) চলে আসার পর মোজফফরের নেতৃত্বে
জামালপুর সদর উপজেলার বন্দচিতলীয়া গ্রামের আলমগীর, মফিজ, লিকসন, সুমন,
সজীব, মান্নান, সোহাগ, তুহিন, জলিল, খলিল, সোহরাব এবং মুক্তাগাছার
মলাজানী গ্রামের শহীদ, তাহের, জাকির, জয়নাল, ময়না, হামিদুল সহ ৪০/৫০
জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রসহ এলাকার জনমনে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও ত্রাস সৃষ্টি
করে সেকান্দর হাজীর নির্মানাধীন পাকা বিল্ডিং ভাংচুর করে। তাছাড়া
আজাহারের জমিতে অবৈধভাবে জমি জবর দখলের পায়তারা করে তার সীমানার
ভিতরে খুটিগারে। সেকান্দর হাজীর সাথে আলমগীর কবিরের কোন সীমানা নেই
কিন্তু সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আলমগীর কবির সেকান্দর হাজীর নির্মানাধীন
পাকা বিল্ডিং ভেঙ্গে ফেলার যার কোন যুক্তিগত কারন নেই। অন্যায় ভাবে সেকান্দর
হাজীর ঘর ভাঙ্গা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী
এ ন্যাক্কার জনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এ ব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা
বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ভোক্তভোগী সেকান্দর হাজী।