ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার রসুল গ্রামের
সেকান্দর আলী (৭০) এর অর্জিত অর্থসম্পদ নিয়ে উধাও তার স্ত্রী পুত্র। অসহায় সেকান্দর আলী
বিপাকে পরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
জানাযায়, রসুলপুর গ্রামের মৃত ফুল মোহাম্মদের পুত্র সেকান্দর আলীর ৩৫ বছর বিবাহিত জীবনের
এক ছেলে দুই কন্যার জনক। কন্যাদের বিয়ে হয়ে গেছে। তাদের সংসারেও সন্তানাদি রয়েছে। পুত্র
আলমগীর অনার্সে লেখাপড়া করে। মাঝে মধ্যেই পিতার কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা
নিতো। গত রমজানের ঈদের পর পিতা সেকান্দরের কাছ থেকে কম্পিউটার ক্রয়করার কথা বলে ৫০
হাজার টাকা নেয়। কম্পিউটার না কিনে বন্ধুদের নিয়ে ফুর্তিকরে টাকা শেষ করে ফেলে। এ
নিয়ে স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের (৫০) সাথে প্রায়ই মনোমালিন্য হতো। গত ১৪ই জুন কাউকে
কিছু না বলে স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও পুত্র আলমগীর সেকান্দরের ঘরে রাখা তার গচ্ছিত নগদ ১লাখ
৩০ হাজার টাকা ও এক ভরির কিছু বেশি স্বর্ণ যা তার সর্বশেষ সম্বল তা নিয়ে মা পুত্র উধাও
হয়ে যায়। এবং তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ রাখে। বহু খোজাখুজির পরও কোন সন্ধান বা
অবস্থান পায়নি। সম্প্রতি তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে ০১৮৮৫৩৭৪২২৭, ০১৩০৫২০৪৭৭১ ও
০১৬২৬৫৬৭৪৮২ তে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়।
সেকান্দরের বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামকে সাথে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে
মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবে এসে তার মানবেতর জীবন যাপনের বিষয়টি অবহিত করেন এবং তার
স্ত্রী পুত্রের এহেন কর্মকান্ডে দুঃখ প্রকাশ করেন। এব্যাপারে সেকান্দরের বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা
আব্দুস সালাম জানান, তাদের ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোনের মধ্যে ০১৬২৬৫৬৭৪৮২ নাম্বারটি
মাঝে মধ্যে খোলা পাওয়া গেলেও ফোনটি কেউ রিসিভ করে না। দুই দিন আগে ফোন রিসিভ করলে
ভাতিজা আলমগীরকে তার মা সহ ফিরে আসার অনুরোধ করলে তা প্রত্যাখ্যান করে এবং অশালীন
আচরণ করে। তারা কোথায় আছে তা প্রকাশ করেনি। আলমগীরের মা সেকান্দরের স্ত্রী মনোয়ারা
বেগমের সাথে কথা বলতে দিচ্ছে না। এব্যাপারে বৃদ্ধ সেকান্দর আলী অসহায়ের মতো কালাতিপাত
করছেন। তিনি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
