রিয়াজুল ইসলাম (আলম)সাতক্ষীরা:::সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের এলাকা, পুরো হাসপাতালের আধা কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক । আশ্চর্যের কথা এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকের নেই কোনো বৈধ অনুমোদন কিন্তু দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে কার্যক্রম। নিশ্চয়ই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক কিভাবে চালিয়ে যাচ্ছে হাসপাতাল ও ক্লিনিক কারাই বা সেবা দিচ্ছে এসবে? জানা গেছে সাতক্ষীরা জেলা তে ১০৮ টি ক্লিনিক রয়েছে এর মধ্য ৬৪ টির নেই কোনো অনুমোদন।
জেলায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ১২৩ টি তারমধ্যে অনুমোদন নেই অর্ধেকেরও বেশি। রোগী আসছে সেবা নিচ্ছে কিন্তু সেই সেবা বিপদ ডেকে আনছে না তো? জেলার পলাশপোল এলাকা নিরাময় ক্লিনিক, অভিযোগ রয়েছে এখানে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত অধিকাংশরই যত যত পড়াশোনা কিংবা প্রশিক্ষণ কিন্তু তাদের মাধ্যমেই চলছে অসংখ্য রোগীর চিকিৎসা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাই আমরা কিন্তু মুখ খুলতে রাজি নন কর্তৃপক্ষ। ঘটনার অন্তরালে যে জানতে চাইলে নারাজ কর্তৃপক্ষ, অনুমোদন আছে দাবি করে সাংবাদিকদের চলে যেতে বলেন। কিন্তু প্রশ্ন থাকে অনুমোদন থাকলে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে কেন এত আপত্তি? সদর হাসপাতালের আশেপাশে রয়েছে ব্যাঙের ছাতার মত রয়েছে অনেক অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিক। অনুমোদনহীন এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে আশা রোগীর সংখ্যাও কম নয়, কিন্তু যারা এসব রোগীর সেবা দিচ্ছেন তারা কতটুকু শিক্ষিত? কারণ তাদের হাত দাঁড়ায় এসব হাসপাতাল-ক্লিনিকে চলছে ছোট-বড় অপারেশন।
এসব কার্যক্রমের কোন চিন্তার ভাঁজ নেই কর্তৃপক্ষের। কারণ হিসেবে জানা গেল সবকিছু ম্যানেজ করেই পরিচালনা করা হচ্ছে হাসপাতাল। আরো গভীর তদন্ত করে জানা যায় অনুমোদন নিয়ে চলছে লুকোচুরি খেলা, খোদ সিভিল সার্জেন্ট দিলেন অনুমোদনহীন হাসপাতাল ও ক্লিনিক এর পরিসংখ্যান তাহলে তো প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে অবৈধ কার্যক্রম। সিভিল সার্জন জানালেন অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধে মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এমন মনগড়া কথা বাত্রা কতটুকু সন্তোষজনক তার বিচার ভার আপনাদের ওপরই ছেড়ে যেতে চাই।