মিথ্যে মাদক মামলা ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এক নারীকে জোড়পুর্বক ধর্ষন করছে ডেমরা থানা কোনাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই এনামুল হক। মুসলিম নগর জিরোপয়েন্ট এলাকার বাসিন্দা ঐ নারীকে ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার রাতে ডেমরা থানা এলাকার কোনাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে একটি টিনসেড ঘরের ভিতর নিয়ে বাদীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে অস্ত্রের ভয় এবং তার স্বামীকে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দুইঘন্টা আটকে রেখে দুই দফা ধর্ষন করেন এবং ছয় হাজার টাকা ঘুষ নেন ওই পুলিশ।
এ ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী ধর্ষিতা ঐ নারী ডিএমপি কমিশনার এর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা গ্রামের বাসিন্দা আলী আকবর এর কন্যা ঐ নারী স্বামী সন্তান নিয়ে মাতুয়াইলের মুসলিম নগর জিরোপয়েন্ট এলাকার জব্বার মিয়ার বাড়ির তৃতীয় তলায় ভারা থাকেন। তার স্বামী নারায়নগঞ্জের সাইনবোর্ড লিংক রোডে একটি মিনি গার্মেন্টস এর মালিক। ঘটনার দিন রাত ১২.৩০ মিনিটের সময় তার স্বামী গার্মেন্টস এর কাজ সেরে বাসায় ফেরার পথে কোনাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই এনামুল হক তাকে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।পরে কোনাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই এনামুল হক আটক সেই মিনি গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর স্ত্রীর মোবাইলে ফোন করে জানান যে তার স্বামীর কাছে মাদক পাওয়া গেছে এবং তাকে দ্রুত ফাঁড়িতে আসতে বলেন।
ভুক্তভোগী ঐ নারী দ্রুত তার ৪ বছরের শিশু কন্যাকে ঘুমে রেখে পাশের ঘরের অন্য মহিলাকে দেখতে বলে সেখানে আসেন। এসআই এনামুল হক ভুক্তভোগী নারীকে জানান যে,তার স্বামীর কাছে ২০০ পিছ ইয়াবা পাওয়া গেছে। তাকে ছাড়াতে হলে ১ লক্ষ টাকা দিতে হবে। তার কথা শুনে ভুক্তভোগী নারী কান্নাকাটি করে স্বামীকে মুক্ত করতে অনুরোধ করেন। পরে এসআই এনামুল ঐ নারীকে ডেমরা থানা এলাকার কোনাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে একটি টিনসেড বাসার ভিতর নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে এসআই এনামুল হক তাকে বলেন, এখন কত টাকা দিতে পারবেন। ঐ নারী তাকে ছয় হাজার টাকা দিতে পারবে বলে জানায়।
এসআই এনামুল তাকে আরও কিছু দিতে হবে বলে জানায়, সেই কথা বলেই সে ভুক্তভোগী নারীকে জড়িয়ে ধরে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত লাগায় এবং কোমর থেকে পিস্তল বেড় করে হত্যার ভয় দেখিয়ে ঐ নারীর সাথে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে।