মতলব প্রতিনিধিঃ ১৩-০৯-২০২১ইং তারিখে রোজ সোমবার মতলব পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের মোঃ মফিজুল ইসলাম (মজনু) গাজীর মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীর (১৫) শ্লীলতাহানি এবং ধর্ষণের অপচেষ্টা করে স্থানীয় একই এলাকার বাসিন্দা মোঃবারেক কবিরাজ (৭০) উর্ধে বয়সি বৃদ্ধ ।
প্রতিবন্ধী মেয়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বারেক কবিরাজ তাকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়, মেয়েটি বারেক কবিরাজের বাড়িতে গিয়ে জাম্বুরা ফল দেখে তার কাছে একটি জাম্বুরা ফল চায়, বারেক কবিরাজের বাড়িতে স্ত্রী সন্তান না থাকায় মেয়েটিকে জাম্বুরা ফল দিবে বলে ঘরে ডেকে নেয়, প্রথমে শ্লীলতা হানী করে এবং তার হাতে বিশ টাকা দিয়ে, ধর্ষনের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি কোন রকম ইজ্জত বাঁচিয়ে দৌড়ে পালিয়ে বাড়িতে চলে আসে এবং তার মা’য়ের কাছে সব কথা ফাস করে দেয়।
আগে বহুবার এধরনের ব্যাবহার করেন বারেক কবিরাজ, বিষয়টি মেয়ের মা তার স্বামী মোঃমফিজুল ইসলাম মজনুকে জানান। বাবা ইজ্জতের কথা চিন্তা করে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের না জানিয়ে নিজেই বারেক কবিরাজকে সাবধান করে দেন ভবিষ্যতে যেন এরকম কিছু না ঘটে।
পর দিন রোজ মঙ্গলবার মোঃ মফিজুল ইসলাম (মজনু) ফজরের নামাজ পড়ে ঘরে ফেরার পথে পরিকল্পিত ভাবে বারেক কবিরাজ ও ছেলে মোঃ মাসুদ , মোঃ আশেক আলী মেয়ে জোসনা বেগম ও জবেদ আলীর ছেলে রনি সহ পথরোধ করে অতর্কিত ভাবে অমানুসিক মারধর করে,এবং চিৎকার শোনে আসপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষ অবস্থায় চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
মোঃবারেক কবিরাজের বিরুদ্ধে এর আগেও ধর্ষণের মামলা এবং অনৈতিক কুকর্মের তথ্য পাওয়া গেছে। স্থানীয় কিছু প্রভাব শালী লোকের মদদে, জগন্য অপরাধ করেও অর্থের জোরে বারবার পার পেয়ে যায় বারেক কবিরাজ । বিষয়টির বাংলাদেশ মানবাধিকার, পুলিশ প্রশাসন এবং স্থানীয় প্রশাসনের উর্ধতন সকল কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। এ ধরনের অনৈতিক জগন্য ঘটনার সুস্থ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে তারা।