সরকারি নির্দশনা না মেনে আশ্রয়ন প্রকল্পের নির্ধারিত স্থানে  চলছে পুকুর খনন

দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ জামালপুর জেলার  দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের বাঘারচর মৌজার আরএস ১নং খতিয়ান ভুক্ত ৪৯৩৩ নং দাগের ১.৫৩ একর জমিতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে পুকুর খনন করছে একটি মহল।
 সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়।ডাংধরা ইউনিয়ন পরিষদের  সদস্য মিষ্টার আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আামার নানা বাড়ির ওয়ারিশ সুত্রে আমি জমির মালিক। বিগত সময়ে  এ ব্যাপারে একাধিক বার ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ মমিনুল ইসলাম কে অবগত করলেও তিনি সাংবাদিকদের বলেন এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা।
কেনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি ডাংধরা ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা সে বিষয়েও কিছু বলতে নারাজ । পরবর্তীতে ইউএনও একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ কে এবিষয়ে অবগত করলেও কোন অগ্রগতি লক্ষ করা যায় নি। তিনি এখন বদলী হয়ে চলে গেছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মোস্তফা এর হস্তক্ষেপে উক্ত জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ বাস্তবায়নের লক্ষে জমিতে লাল পতাকা স্থাপন করে জায়গায় নির্ধারণ করেন। কালের পরিবর্তনে সাবেক ইউএনও গোলাম মোস্তফা এর বদলী জনিত কারণে পরবর্তী ইউএনও সুলতানা রাজিয়া দু’এক বার নাড়াচাড়া দিলেও ঘটনার মোড় পাল্টে দেন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ মমিনুল ইসলাম ও ইউপি সদস্য মোঃ মিষ্টার আলী গং।
রাস্তায়  মাটি  দেবার নাম করে জমি হতে বেকু দিয়ে মাটি কেটে জমির চেহারা পাল্টে দেয়া হয়। সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে ধরাকে শরা বানিয়ে নিজের স্বার্থ হাছিল করছে চক্রটি। বর্তমানে দুঃসাহসিকতার মাত্রা আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে। সেখানে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে চলছে জমজমাট ব্যবসা, পুকুর খনন করে দখল নিচ্ছে জমি। কেনো  নিরব ভূমিকায় প্রশাসন সহ সুধী সমাজ। এর কারণ কি? রহস্য কোথায়? নেপথ্যে কাজ করছে কারা? প্রশ্ন সাধারণ জনগণের।