ময়মনসিংহ থেকে সিরাজুল হক সরকারঃ দোয়ারে করা নাড়ছে ইউপি নির্বাচন। দ্বিতীয় ধাপের পর যেকোন দিন তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হতে পারে। তাই দলীয় মনোয়ন লাভ ও নির্বাচনী বৈতরণী পারি দেবার লক্ষকে সামনে রেখে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা, লবিং-তদ্বির নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলার ১০ ইউনিয়নেই ভোটে লড়বার প্রস্তুতি নিয়ে জোর প্রচারণায় নেমে গেছেন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। সরব হয়ে উঠেছেন ভোটাররা।
এবারের নির্বাচনে ১০ নং খেরুয়াজানী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে ভোটে লড়বার প্রত্যাশায় অন্যান্য প্রার্থীর মতো পরিকল্পিত পদক্ষেপে মাঠে কাজ করছেন সাবেক ছাত্র নেতা মোঃ মনিরুজ্জামান
কামাল। তিনি এবার নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে চান। ইতোমধ্যেই তিনি মাঠে কাজ করে সাধারণ ভোটারদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন পেলে এবার তার পক্ষে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া
সহজ হবে বলে মনে করছেন এলাকার রাজনৈতিক সচেতন মহল। পারিবারিকভাবেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগের অনুসারীমনিরুজ্জামান কামালের রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় ছাত্র লীগের রাজনীতি করার মধ্য
দিয়ে।
মুক্তাগাছা শহীদ স্মৃতি সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, শহীদ স্মৃতি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে সদস্য প্রার্থী, মুক্তাগাছা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য থাকাসহ আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন দায়িত্ব দক্ষতার সাথে পালন করেছেন। ৯০,র স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলন, ৯৬’র বিএনপি সরকার বিরোধী আন্দোলন, ২০০১ এ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় অংশ গ্রহন ছিল তার।
মাঠে সক্রিয় রাজনীতির করার কারণে বিএনপি-জামায়াত কর্তৃক বার বার হামলা মামলার শিকার হন। বিএনপি- জামায়াত জোট সরকারের সময়ে নির্যাতন নিপীড়নে অতীষ্ঠ হয়ে এক পর্যায়ে নিজের বাড়ি ঘর থেকে বিতাড়িতও হতে হয় তাকে। এবার ১০ নং খেরুয়াজানী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে অংশ গ্রহন করার প্রত্যাশায় তিনি দীর্ঘ সময় ধরেই এলাকার মানুষের সাথে সুসম্পর্ক রেখে সুখে-দঃুখে মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। তিনি ইউনিয়নে প্রত্যেকটি
ওয়ার্ডে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সাথে কাজ করে সকলের প্রিয় মুখ হয়ে উঠেছেন।
পারিবারিকভাবেই অনেক আগে থেকেই তারা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তার নানা নকলা উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ডাক্তার নাদেরুজ্জামান আওয়ামীলীগ থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন। তার মা সাইদা আক্তার খানম ছিলেন, মুক্তাগাছা উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী। বাবা আব্দুল খালেক সরকারী চাকুরিজীবী থেকেও একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন সহযোদ্ধা হিসেবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে সহযোগিতা করাসহ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
ফলে সেসময় পাকিস্তানীদের দ্বারা চাকুরিচ্যুত ও নির্যাতনের শিকার হন। আজীবন তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। এলাকায় তার বলিষ্ঠ অবস্থান রয়েছে। খেরুয়াজানী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক আহবায়ক ফজলুল হক বিএসসি জানান, মনিরুজ্জামান কামাল ইতোমধ্যেই ইউনিয়নে নিজের একটি অবস্থান তৈরী করতে পেরেছেন। তিনি নৌকা পেলে দলীয় নেতাকর্মীরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। তাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে এবার নৌকার বিজয় সহজ হবে।
ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা নুরুন নাসিম খান জানান, কামাল মূলত দলের ত্যাগী নেতা। তাকে নৌকা দেয়া হলে দলের জন্য ভাল হবে। ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক শরিফুল ইসলাম জানান, সবদিক বিবেচনায় দলের জন্য ত্যাগী মনিরুজ্জামান কামালকে এবার নৌকার মনোনয়ন দেয়া হলে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগের হাত ছাড়া হওয়া চেয়ারম্যানের এই পদটি আওয়ামীলীগের দখলে নেওয়া সহজ হবে।
ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, এক সময়ের তুখোড় ছাত্রলীগ নেতা মনিরুজ্জামান কামাল নির্বাচন করার লক্ষ নিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করছেন। তাকে মনোয়ন দেয়া হলে এই ইউনিয়নে এবার নৌকার বিজয় নিশ্চিত হবে। মনিরুজ্জামান কামাল বলেন, সারা জীবন দলের জন্য কাজ করেছি। এবার দলের প্রতীক
নিয়ে ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে চাচ্ছি। আমাকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেয়া হলে চেয়ারম্যানের এই চেয়ারটি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সহজেই উপহার দিতে পারবো ইনশাল্লাহ।