মুক্তাগাছায় স্বামীর ভিটায় ঘর উঠাতে বাধা, বিপাকে বিধবা পরিবার

মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার বাঁশাটি ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের বিধবা জরিনা বেগম (৫০)
তার স্বামীর ভিটায় বসত ঘর তৈরি করতে একটি মহল বাধা সৃষ্টি করছে। ঘর উঠনোর প্রায় শেষ মুহুর্তে প্রতিবেশী মৃত মজিদ ফকিরে পুত্র চাঁন মিয়া ও তার ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে। মিথ্যা অজুহাতে আদালতে মামলা দিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করে ঘর
নির্মানের কাজ বন্ধ করে রেখেছে এক মাসের অধিক সময় ধরে। বর্তমানে ৬ ছেলে-মেয়ে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে কষ্টে বসবাস করছেন জরিনা। উক্ত সম্পত্তি নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে একাধিক সালিশ হলেও কোন সুরাহা হয়নি।
এ ব্যাপারে জরিনা খাতুন বাদি হয়ে ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার বরাবর চাঁন মিয়ার বিরুদ্ধে গত ০৬/১০/২০২১ ইং তারিখ একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী জরিনা জানান, প্রতিবেশী আব্দুল মজিদ ফকিরের পুত্র চাঁন মিয়ার সাথে তার স্বামী মৃত রোস্তম আলী ও স্বামীর চাচাতো ভাই সুলতান কারীর পুত্র মুন্তাজ আলীর সাথে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘদিন যাবত। জরিনা স্বামী অশিক্ষিত দিন মজুর ছিল। এ সুবাধে চাঁন মিয়া ও তার পিতা পৈত্রিক সম্পত্তির হিসাব নিকাশ ও বিআরএস জরিপ কাজে সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে জমি তাদের নামে রেকর্ড করেন। তার স্বামী মারা যাওয়ার পর জমির বিষয়টি তাদের নজরে আসে। এব্যাপারে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিজ্ঞ মুক্তাগাছা সহকারী জজ আদালতে বাটোয়ারা মামলা চলছে। যার নং ৯১/১৮। তাছাড়া জমির রেকর্ডে ভুল হওয়ায় বিজ্ঞ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে মামলা বিচারাধীন। যার নং ১৪৮৬/২০১৪। মামলা নিষ্পত্তি
না হওয়া সত্তে¡ও চাঁন মিয়া তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

বাড়িভিটার মাত্র দেড় শতাংশ জমির উপর সন্তানদের নিয়ে থাকার জন্য ঘর উঠানোর প্রায় শেষ পর্যায়ে চাঁন মিয়া আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করেন। বর্তমানে জরিনা বেগম ঘর উঠাতে না পেরে খোলা আকাশের নিচেই সন্তানদের নিয়ে বসবাস করছেন। তিনি আরও জানান, পৈত্রিক বাড়ি ভিটা সম্পত্তি নিয়ে চাঁন মিয়ার সাথে মুনতাজ আলীর বিরোধ চলছিল। এ ব্যাপারে চাঁন মিয়ার কাছ থেকে মুন্তাজ আলী এক লক্ষ টাকা গ্রহন করে কিন্তু চাঁন মিয়া মুন্তাজ আলীর কাছে না গিয়ে আমার মৃত স্বামী রোস্তম আলীর সম্পত্তি নিয়ে অযথা বিরোধে জড়িয়ে আমাদেরকে হেনস্থা করছে। এব্যাপারে তিনি আইন প্রয়োগকারী
সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।