মুক্তাগাছায় ভ্রাম্যমান আদালত চলাকালে, বাড়ি ঘর ভাংচুর, লুটপাটের অভিযোগ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ভ্রাম্যমান আদালত চলাকালে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
উঠেছে। এ ঘটনায় মুক্তাগাছার কুমারগাতা ইউনিয়নের সাতশিয়া গ্রামের মৃত সফর উদ্দিনের পুত্র মোঃ আব্দুল জলিল ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার বরাবর গত ১৭ অক্টোবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে জানাযায়, সাতাশিয়া গ্রামের আব্দুল জলিল তার পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া সাতাশিয়া মৌজার খতিয়ান ১১৩, দাগ নং বিআরএস ৩৬৭, জমির পরিমারণ ২৮ শতাংশ। উক্ত জমিতে তারা তিন ভাই দুই বোনসহ সন্তানাদি নিয়ে ১৩টি পরিবার বসবাস করে আসছে। উক্ত জমির পাশ দিয়ে সরকারি নালা প্রবাহিত। নালার পাশের জমি মুক্তাগাছা ভূমি অফিসের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী মোঃ হাবিবুর রহমানের। হাবিবুর রহমান অফিসের সার্ভেয়ারকে প্রভাবিত করে জমি মাপ জোখে কারসাজির মাধ্যমে তার বৈধ সম্পত্তিকে খাস খতিয়ান হিসাবে চিহ্নিত করেন।

এদিকে গত ১২/১০/২০২১ইং তারিখ সকাল ১১টায় মুক্তাগাছা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আব্দুল জলিলের বাড়ি ঘর ভাংচুর ও উচ্ছেদ করে। উচ্ছেদের সময় ৩টি থাকার ঘর, ২টি রান্না ঘর, ১টি সরকারি টাকায় নির্মিত টয়লেট ভাংচুর ও বাড়িতে থাকা ফলজ ও বনজ বৃক্ষ, বাঁশঝাড়, কেটে ফেলা হয়।

আব্দুল জলিলের অভিযোগ, ভ্রাম্যমান আদালতের সময় অফিসের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী হাবিবুর রহমান তার যোগসাজসে তার ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে বাড়ি ঘরের মালামাল লুটপাট এমনকি ঘরের থালাবাসনসহ লুট করে নেওয়া হয়। জলিল বলেন, আমরা শ্রমজীবি মানুষ। অন্যের বাড়িতে কাজ করে খাই। আদালত পরিচালনার সময় আমরা বাড়িতে ছিলাম না। বাড়িতে শুধু মেয়ে-ছেলেরা ছিল তারা তাদের হাতে-পায়ে ধরে কান্নাকাটি করলেও কর্নপাত করেনি। আমার ছেলে ঢাকায় রাজযোগালি কাজ করে অসুস্থ হয়ে বাড়ি আসলে তার চিকিৎসা চলছিল।

আদালত পরিচালনার সময় অসুস্থ অবস্থায় ঘরে শুয়ে ছিল। তাকে অসুস্থ অবস্থায় ধরে নিয়ে আদালতের মাধ্যমে এক মাসের জেল প্রদান করা হয়। সরকার আমাকে একটি ঘর ও টয়লেট নির্মাণ করে দিয়েছেন। অথচ উচ্ছেদের নামে সরকারি টাকায় তৈরি টয়েলটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। জমির প্রকৃত মাপ দিয়ে আমার বৈধ সম্পত্তির বাহিরে যাহা আছে সরকার নিয়ে যাক আমার আপত্তি নাই। কিন্তু অন্যায়ভাবে আমার বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুট হওয়ার আমরা সর্বশান্ত হয়েগেছি।

এব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, উক্ত নালার জমিটি ১নং খাস খতিয়ানের সরকারি জমি। সার্ভেয়ার দ্বারা মাপজোখ করে খুঁটি গাড়া হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ করা হয়েছে। আব্দুল জলিল ইচ্ছে করলে ভ্রাম্যমান আদলতের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেন।