মাহমুদুল হাসান রাজিব,মুক্তাগাছা প্রতিনিধি: মুক্তাগাছা বাহির বাজাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কমিটি গঠন সহ বিভিন্ন কাজের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি হারুন-অর-রশিদ, ইউপি সদস্য মনির ও এলাকার মাসুম, জাহাঙ্গীর, নূরুল, আকরাম, সাইফুল ইসলাম, খলিলুর রহমান, আব্দুল আওয়াল সহ এলাকার কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যাক্তি গত রবিবার মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবে এসে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।
তারা জানান, বাহির বাজাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান শহিদ, সহকারী শিক্ষক মোস্তফা কামাল রতন, যোগশাজুসে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে ছাত্রঅভিভাবক, ইউপি সদস্য সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অগোচরে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে কমিটির বিদ্যুৎসাহী সদস্য নিয়ে কারচুপির আশ্রয় নেয়। তারা জানান, দুই বছর পূর্বে স্কুল কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। পুরাতন কমিটি নিয়ে চলছে কার্যক্রম। ইতিমধ্যে প্রধান শিক্ষক স্কুলের তিনটি পরিত্যাক্ত টয়লেট, পুরাতন ব্রেঞ্চ এর লোহা সহ অন্যান্য মালামাল কোন রেজুলেশন ছাড়াই বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করে।
অভিযোগকারীরা জানান, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির গঠনে বিদ্যুৎসাহী সদস্যদের বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক মোস্তফা কামাল রতন যোগ সাজুসের মাধ্যমে স্কুল ক্যাচমেন্ট এরিয়ার বাহির থেকে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে দুইজন বিদ্যুৎসাহী সদস্য নিয়োগের ব্যাপারে সুপারিশ করে অনুমোদন নিয়েছেন। যাদের মধ্যে একজন সহকারী শিক্ষক মোস্তফা কামালে স্ত্রী হেপি বেগম, অন্যজন হাফিজুর রহমান মাসুম যিনি মোস্তফা কামালের চাচা। স্কুলের পরিত্যাক্ত তিনটি টয়লেটের ইট, দরজা, পানির ট্যাঙ্ক সহ অন্যান্য কমিটির মতামত ব্যতিরেকেই পঞ্চাশ হাজার টাকা বিক্রি করে আত্মসাৎ করেছেন।
এ ব্যাপারে সোমবার সরেজমিনে গিয়ে স্কুলের পরিত্যাক্ত টয়লেটের ইট তিনটি দরজা সহ পানির ট্যাঙ্ক ক্রেতা মোশাররফ হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, এক বছর পূর্বে করোনা কালীন সময়ে তিনি পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে তিনটি পরিত্যাক্ত টয়লেটের ইট, তিনটি দরজা ও পানির ট্যাঙ্ক ক্রয় করেন। টয়লেটের সেই ইট দিয়ে একটি টয়লেট তৈরি করেছি বাকি ইট আমার বাড়িতে সংরক্ষিত রয়েছে।
প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, করোনার কারনে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। পুরাতন কমিটি দিয়েই চলছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত কমিটি করার জন্য। বিদ্যুৎসাহী সদস্যের ব্যাপারে তারা জানান, এ ব্যাপারে মন্ত্রীর নির্দেশনায় কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় কাজ চলছে। স্কুলের পরিত্যাক্ত টয়লেট বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক জানান, পরিত্যাক্ত টয়লেটের ইট দিয়ে স্কুল ঘরের সিড়ি সহ অন্যান্য সংস্কার কাজ করা হয়েছে। পরিত্যাক্ত টয়লেটের কিছু ইট বিক্রি করা হয়েছে। তিনি জানান, স্কুল কমিটি গঠনে বিদ্যুৎসাহী সদস্য নিয়োগ নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তি ও সাবেক সভাপতির সাথে মতবিরোধ চলছে। মূলত এ নিয়েই নানা অভিযোগ। পরিত্যাক্ত টয়লেট বিক্রয়ে কমিটির কোন সিদ্ধান্ত আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী ছাত্রঅভিভাবক, ইউপি সদস্য সহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা পূর্বক একটি সুন্দর কমিটি গঠনের মাধ্যমে স্কুল পরিচালনার সুস্থ্য ব্যবস্থানার দাবী জানিয়েছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ প্রয়োজন।