সরকারের প্রজ্ঞাপন মানছেনা আদিবাসী হিসেবে অধিকার আদায়ে চালাচ্ছে কার্যক্রম

সরকারের প্রজ্ঞাপন মানছেনা আদিবাসী হিসেবে অধিকার আদায়ে চালাচ্ছে কার্যক্রম

নজরুল ইসলাম টিটি—- ইদানিং উপজাতিদের আদিবাসী বলার একটা রেওয়াজ চালু হয়েছে। যারা উপজাতিও নয়, নৃতাত্বিক ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠি তারা কেন নিজেদের আসিবাসী দাবী করছে ? একটি মাত্র শব্দ প্রতিষ্ঠা করতে চাওয়ার কি কারন ? ১.আদিবাসী কারা ? ইংরেজী Indigenous শব্দটির বাংলা হচ্ছে আদিবাসী। প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে কোন এলাকার বিশেষ জনগোষ্ঠী যদি ঐ এলাকায় বসবাস করে তাহলে তাদেরকে ঐ এলাকার আদিবাসী হিসেবে গণ্য করা হয়। আদিবাসী হতে হলে অভিবাসী হলে হবে না, বরং সত্যিকারভাবে একটি দেশে প্রাচীনকাল থেকে উৎপত্তি হতে হবে। ২. বাংলাদেশে বসবাসরত উপজাতিরা আদিবাসী কি না ? কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিরা এসব সংজ্ঞার অন্তর্ভূত নয়। উপজাতিরা এই এলাকায় পার্শ্ববর্তী দেশ বার্মা, চীন, ভারতের মিজোরাম, ত্রিপুরা থেকে সেই দেশের সরকার কর্তৃক তাড়িত হয়ে আমাদের বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে ঠাই নিয়েছে। তিন পার্বত্য জেলার ইতিহাস ও সমগ্র বিশ্বের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে তিন জেলার ১৩টি উপজাতি মূলত ১৬০০-১৯০০সালের মধ্যে বিভিন্ন জায়গা/দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে অত্র অঞ্চলে বসবাস শুরু করে। ৩. উপজাতি নামধারীরা ভীনদেশি সন্ত্রাসী- পার্বত্য চট্টগ্রামের এসব উপজাতীয় জনগোষ্ঠীগুলোর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, এসব জনগোষ্ঠীগুলোর প্রায় সবাই যুদ্ধ-বিগ্রহ এবং হিংস্র দাঙ্গা-হাঙ্গামার ফলে তাদের পুরাতন বসতি স্থান থেকে এখানে পালিয়ে এসেছ। নতুবা, এক জনগোষ্ঠী অন্য জনগোষ্ঠীর পশ্চাদ্ধাবন করে আক্রমণকারী হিসেব এদেশে প্রবেশ করেছে (Hutchinson, 1909, Bernot, 1960 and Risley, 1991)। পাহাড়ে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতিগুলো বহিরাগত সন্ত্রাসী এবং তারা অভিবাসী জনগোষ্ঠী, কোনো কোনো গোষ্ঠীকে উপজাতি বলা যায়। তবে কোন ভাবেই আদিবাসী নয়। ৪. ‘সন্তু লারমা ও রাজা দেবাশিষ বলেছিল-বাংলাদেশে কোন আদিবাসী নাই’। শান্তিচুক্তিতেও আদিবাসী শব্দ নেই, আছে উপজাতি। ৫.আদিবাসী দাবী করার পিছনে রহস্য কি ? বর্তমানে ইহুদিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক ঘোষণাপত্রের ধারা নম্বর ৩ কী বলা হয়েছে: ‘“আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার: আদিবাসীদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার থাকবে। এই অধিকার বলে তারা স্বাধীনভাবে তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারবে।এবং স্বাধীনভাবে তাদের রাজনৈতিক অবস্থা নির্ধারণ, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন করবে”। অর্থাৎ তারা কি কোন দেশের মধ্যে থাকবে, না সেই দেশ থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন দেশ গঠন করবে- সেটা তাদের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করবে, যেমন পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিদের যদি আদিবাসী স্বীকৃতি দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে তারা কি বাংলাদেশের মধ্যে থাকবে, না বাংলাদেশ থেকে আলাদা হয়ে পার্বত্য এলাকাকে নিয়ে স্বাধীন জুম্মাল্যান্ড গঠন করবে- তা সেই উপজাতীদের রাজনৈতিক ইচ্ছার ওপর নির্ভর করবে। অর্থাৎ তাদের আদিবাসী দাবী করার অর্থ হল আলাদা জুম্মল্যান্ড রাষ্ট্র গঠন করা। ৬. কারা মদদ দিচ্ছে ? হলুদ মিডিয়া / সাংবাদিক বিশেষ করে প্রথম আলো , সুলতানা ও সিএইচটি কমিশন, ইউএনডিপি , দালাল বুদ্ধুজীবি, বিভিন্ন এনজিও যেমন কারিতাস , মিশনারী চার্চ , আমেরিকা-ইউরোপ-অষ্ট্রেলিয়া ষড়যন্ত্রকারীরা যারা মুসলিম দেশ সুদান ও ইন্দোনেশিয়া হতে আলাদা দুটি রাষ্ট্র গঠন করেছে। ইহুদী নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ায় উপজাতি সন্ত্রাসীদের আদিবাসী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। আজকে এসকল হলুদ মিডিয়ায় পার্বত্য চট্রগ্রামে কিছু হলেই যাচাই বাচাই না করে বাঙ্গালীদের উপর দায় চাপায় । কোন উপজাতি নারীর উপর নির্যাতন হলে বাংগালীরা নির্যাতন করেছে বলে অপপ্রচার চালায়। অথচ প্রকৃত সত্য তার উলটো। উপজাতি সন্ত্রাসীরাই তাদের মেয়েদের সম্ভ্রমহানী করে বাঙ্গালীদের উপর দায় চাপায়। যে বিষয়টি রোকেয়া লিটা নামে এক লিখিকা তার বই ডুমুরের ফুলে উল্লেখ করেছেন। তিনি প্রমান করেছেন উপজাতি সন্ত্রাসীরাই তাদের মেয়েদের সম্ভ্রমহানী করে । কিন্তু এসকল খবর মিডিয়ায় আসেনা। সরকারকে এদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে জেনে কঠোর হতে হবে এবং জনগনকে সচেতন হতে হবে। যারা সংবিধান ও শান্তিচুক্তি বিরোধী আদিবাসী শব্দ ব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নিতে হবে । সকল এনজিও ও মিশনারীদের কর্মকান্ড রিপোর্টের আওতায় আনতে হবে,জবাবদিহি রাখতে হবে ।