কক্সবাজার থেকে জাহাঙ্গীর আলম রূপান্তর বাংলা-
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক মিটন কান্তি দে’র বিরুদ্ধে ঈদগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
ভিকটিমকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি’তে) পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত ১৬ জুলাই রাতে হিন্দু পাড়াস্থ আসামী মিটনের বাড়িতে ঘটলেও মামলা হয়েছে ২৪ আগস্ট । অভিযুক্ত মিটন কান্তি দে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সমির কান্তি দে’র ছেলে। তিনি চৌফলদন্ডী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
ঘটনার বর্ণনা ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সনাতন ধর্মালম্বীর বাসিন্দা জনৈক ব্যক্তির এসএসসি পরীক্ষার্থী (সঙ্গত কারণে নাম গোপন রাখা হল) মেয়েকে মিটন কান্তি দের কাছে প্রাইভেট পড়াতে দেন। প্রতিদিনের ন্যায় ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার সময় শিক্ষক মিটনের বাড়িত যায় ওই শিক্ষার্থী। রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে এই শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভনে ফেলে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে।
ভিকটিম শিক্ষার্থীর শোর চিৎকারে মিটনের বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে তাকে ঘাঁড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় অভিযুক্ত শিক্ষক মিটন।
পরে ভিকটিম নারী বাড়িতে এসে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালালে পরিবারের সদস্যরা টের পায়। পরে দরজা ভেঙে রুমে প্রবেশ করে তাকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা৷ এরপর ভিকটিম ঘটনাটি তার মা বাবাকে জানান।
ভিকটিমের বাবা জানান, বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধিদের অবগত করলে ঘটনা অস্বীকার করে তাকেসহ পরিবারের সবাইকে মেরে পেলার হুমকি, ধমকি -ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। এরপর মাধ্যমিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদে জানালে অভিযুক্ত শিক্ষক মিটন কান্তি দে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিবদ্ধ হয়।
সালিশের পর অধ্যবদি চুক্তি ভঙ্গ করে নানান ভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে বলে জানান ভিকটিমের বাবা।
নিরুপায় হয়ে তিনি ঈদগাঁও থানায় এজাহার জমা দেন। মামলাটি থানা কর্তৃপক্ষ নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করে ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) তে প্রেরণ করেছে।
ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুল হালিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রুপান্তর বাংলা কে বলেন, ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে, ভিকটিমের ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং আসামী মিটন কান্তি দে’কে গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।