মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি রুপান্তর বাংলা
পিতার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা আনতে ব্যর্থ হওয়ায় স্ত্রীকে দিয়ে দেহব্যবসা করানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে। রাজি না হওয়ায় শিকলে বেঁধে স্ত্রীর ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কুমারগাতা ইউনিয়নের খুকশিয়া গ্রামে। গৃহবধূর বাবা মুকছেদুল আলম ৯৯৯ ফোন করে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিকলের তালা ভেঙে গৃহবধূকে উদ্ধার করে। গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর এ ঘটনায় মুকছেদুল আলম বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার কুমারগাতা ইউনিয়নের কুমারগাতা গ্রামের মুকছেদুল আলমের বড় মেয়ে মাহফুজা আক্তার তামান্না (২২)কে পার্শ্ববর্তী খুকশিয়া গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে মনিরুজ্জামানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে ২০১৬ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের ২ বছরের মাথায় তাদের ঘরে এক মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। বিয়ের পর থেকেই জামান তার ব্যবসা বাড়ানোর কথা বলে তামান্নার বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ দিতে থাকে। ইতিমধ্যে তামান্না বাপের বাড়ি থেকে ১ লাখ টাকা এনে দেয়। কিন্তু তার আরও টাকা চাই।
নির্যাতনের ভয়ে তামান্না বাপের বাড়িতে এসে অবস্থান নেয়। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার জামান তার শাশুড়িকে বুঝিয়ে সুজিয়ে তামান্নাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে জামান তামান্নাকে পুনরায় টাকার জন্য চাপ দেয়। টাকা আনতে অস্বীকার করলে তাকে জ্বলন্ত সিগারেট দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছেঁকা দেয়। প্রতিবেশীরা তার পরিবারকে খবর দিলে তামান্নার পিতা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তামান্নাকে উদ্ধার করে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক রুপান্তর বাংলা কে বলেন, তামান্নার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর অঙ্গসহ শরীরের গোপনাঙ্গে জ্বলন্ত আগুনে পোড়ার দাগ পাওয়া গেছে। মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। থানায় মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
