মাইজদীতে আপত্তিকর ছবি তুলে চাঁদা দাবি, গ্রেপ্তার পাঁচ

নোয়াখালী–নিজস্ব সংবাদদাতা–রুপান্তর বাংলা নোয়াখালীর সদর উপজেলায় এক ব্যক্তিকে ডেকে নিয়ে আপত্তিকর ছবি তুলে চাঁদা দাবির অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

একই সাথে ব্ল্যাকমেইলের শিকার ব্যক্তির একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে ব্ল্যাকমেইলের কাজে ব্যবহৃত পাঁচটি মোবাইল জব্দ করা হয়।

বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুরে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজেলার বাসিন্দা মো. মহসিন টিটু, জোবেদা, নারগিছ আক্তার, ইসমত আরা ও জহির।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে ভুক্তভোগী আব্দুল খালেক বেচু মাইজদীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে দত্ত বাড়ীর মোড়ের একটি চায়ের দোকানে চা খেতে বসলে তার পূর্ব পরিচিত মো. মহসিন টিটু তাকে তার বাড়ীতে চা খাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান।

বেচু সরল বিশ্বাসে টিটুর সাথে তার বাড়িতে যান। বাড়িতে গিয়ে তিনি একটি কক্ষের ভেতরে প্রবেশের সাথে সাথে টিটু বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেন।

এসময় এক নারী ও ৫-৬ জন পুরুষ কক্ষে প্রবেশ করে বেচুর জামাকাপড় খুলে ফেলেন। পরে জোরপূর্বক ওই নারীর সাথে বেচুর আপত্তিকর ছবি তুলে তারা ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের হুমকি দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন ও তার মোটরসাইকেলটি রেখে দেন।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম রুপান্তর বাংলা কে জানান, অভিযোগ পেয়ে ব্ল্যাকমেইল চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নোয়াখালী সদর ও পৌরসভা এলাকাতে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের টার্গেট করে কৌশলে বাসায় নিয়ে পরে আপত্তিকর ছবিও ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেইল করে আসছে। ইতোমধ্যে পুলিশ বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসব চক্রের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে।