নিজস্ব প্রতিবেদক, রুপান্তর বাংলা
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালত এ আদেশ দেন।
এদিন বাবুল আক্তারের উপস্থিতিতে পুলিশের করা সাতদিনের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হলে আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। এসময় উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে সকালে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে বাবুল আক্তারকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পরে এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম।
মামলার সুষ্ঠু তদন্তসহ তিনটি কারণে দেখিয়ে গতকাল বুধবার বাবুল আক্তারের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রবিউল ইসলাম। এরপর আদালত আসামির উপস্থিতিতে এ বিষয়ে শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দিন ধার্য করেন।
রিমান্ড আবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনসহ ৩ জনের সঙ্গে মিলে মিতু হত্যা মামলায় মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য ছড়ানো, তদন্তকে অন্যদিকে ধাবিত করার চেষ্টা, সাম্প্রদায়িক উসকানি এবং পিবিআই ও বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন বাবুল আক্তার। একইসঙ্গে ইলিয়াসের তৈরি ও অনলাইনে প্রচারিত একটি ভিডিও কনটেন্টের জেরে বনজ কুমারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বাবুল আক্তার, যা পিবিআইয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে।
‘তাই বনজ কুমার ও অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পেছনের কারণ উদঘাটন করতে তাকে রিমান্ডে নেওয়া দরকার’, বলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
বাবুল আক্তারকে হয়রানি করার জন্য এই মামলায় জড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে রিমান্ড না দিয়ে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন