ভোলার এওয়াজপুরে কিশোর গ্যাং এর দৌরাত্ম বেড়েছে।

ভোলা সংবাদদাতা — ভোলা জেলার অতি বিখ্যাত একটি ইউনিয়নের নাম এওয়াজপুর – যা সন্ত্রাসবাদী চরফ্যাশন উপজেলার সন্ত্রাসবাদী শশীভূষণ থানার অধীনের একটি ইউনিয়ন। ঐ ইউনিয়নের কিশোর গ্যাং এর দৌরাত্ম বেড়েছে। রাতের আঁধারে মৃরগী চুরি করা, হাঁস চুরি করা, ঝাল মুড়ি-চানাচুর খাওয়ার পার্টি করা, অন্য ঘরের যুবতি বের করে নিয়ে গোপন স্থানে কিংবা খুপরি-খাপড়ি ও ঝুপরি-ঝাপড়ির আড়ালে নিয়ে যৌনাচার করা ঐ কিশোর গ্যাং চক্রের মূল কাজ। এছাড়াও স্থানীয় প্রভাবশালী চোর-ডাকাত চক্রের হয়ে গুপ্তচর বৃত্তিতে নিয়োজিত থাকাও ঐ কিশোর গ্যাং চক্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বিভিন্ন এলাকার রং ফর্সা যুবতি মেয়ে ও মহিলাদের ছবি, নাম, ঠিকানা সংগ্রহ করে বিভিন্ন পতিতালয়ের দালালদের নিকট ও যৌনাচার ব্যবসায়ী বিভিন্ন হোটেলের ব্যবসায়ীদের নিকট পৌছে দেওয়ার কাজেও ঐ কিশোর গ্যাং চক্রকে তৎপর থাকতে দেখা গেছে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বিভিন্ন পতিতালয়ের দালালদের ও যৌনাচার ব্যবসায়ী বিভিন্ন হোটেলের ব্যবসায়ীদের নারী ও যুবতি সংগ্রহের উদ্দেশ্য অবৈধ, বেআইনী ও গোপন অভিযানের কারনে দেশ-গ্রামের রং ফর্সা ও দেহ সৌষ্ঠব বিশিষ্ট নারী ও যুবতিরা রাতের আঁধারে নিজ গৃহে নিরাপদে থাকতে পারে না। বিভিন্ন এলাকার খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে যে, ঐ সকল রমনীরা সন্ধ্যা বা গোধূলি ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে নামাজ পড়ার নামে, বাবার বাড়ী যাওয়ার নামে, মামার বাড়ী যাওয়ার নামে, মামাতো ভাইয়ের বাড়ী যাওয়ার নামে, ভাবীর কাছে যাওয়ার নামে, মাকে দেখতে যাওয়ার নামে, বোনের বাড়ীতে যাওয়ার নামে, ননদের বাড়ী যাওয়ার নামে, আলেম দরবেশি খনকারের নিকট হতে ঝার-ফুঁকের পানি আনার জন্য যাওয়ার নামে, চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার নামে — সহ নানান অজুহাতে গৃহ ত্যাগ করে ও রাত্র অতিবাহিত করে ঘরে ফেরে। এমন কি এওয়াজপুরের কিশোর গ্যাং চক্র স্থানীয়দের নানান উৎপাদিত পন্য সামগ্রী উৎপাদনের স্থান হতেই রাতের আঁধারে অন্যত্র সরিয়ে নিজেদের কব্জাগত করার খবর পাওয়া গেছে। কিশোর গ্যাং চক্রের সদস্যরা তাদের মা-বোনদেরকে রাতের আঁধারে চুরি-ডাকাতি করার কাজে ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এহেন কিশোর গ্যাং চক্রাকারে শশীভূষণ প্রনালী তটেই একাধিক টিমকে সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে। উক্ত টিমের সদস্যরা শশীভূষণ থানা এলাকার এওয়াজপুর, রসুলপুর, জাহানপুর, হাজারীগঞ্জ, আব্দুল্লাপুর, কলমী ইউনিয়ন এমনকি চাঁদপুর জেলায়ও তৎপরতা চালানোর খবর পাওয়া গেছে। ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানার শশীভূষণ প্রনালী তটের কিশোর গ্যাং চক্রকেই বেশ মজবুতভাবে অপকর্ম-কুকর্ম চালিয়ে যেতে দেখা গেছে। ঐ টিমের চীফ ইন কমান্ডে রয়েছে আওলাদ। সে ভোলা জেলার ঊনবিংশ শতাব্দির ত্রিশ দশকের লবন মূল্য বিপ্লবের পরাজিত শক্তির, নব্বইয়ের দশকের লবন গুন্ডা বাহিনীর প্রজন্ম ও এওয়াজপুর ইউনিয়নের কুখ্যাত ও পলাতক ডাকাত রফিক কয়ালের জ্যেষ্ঠ পুত্র। আওলাদের সাথে আছে তার ছোট ভাই হৃদয়, চাচাতো ভাই জাফর, রাশেদ, মামুন, মাকসুদ, বাড়ীর উপরের মারুফ, জিসান, মোস্তফা দেওয়ান বাড়ীর মনির মাসুম, নিকটতম বাড়ীর মিজান, মোসলেহ উদ্দিন, শান্ত। জাফর ও রাশেদ এর পিতা মোসলেহ উদ্দিন, মামুন ও মাকসুদের পিতা আলাউদ্দিন, বাড়ীর উপরের মারুফের পিতা মহিউদ্দিন, জিসানের পিতা মোস্তফা, মোস্তফা দেওয়ান বাড়ীর মনির ও মাসুমের পিতা মৃত: রহিম দেওয়ান, নিকটতম বাড়ীর মিজানের পিতা নুরনবি, মোসলেহ উদ্দিনের পিতা মৃত: মুজাহার, শান্তর পিতা অজ্ঞাত। এরা সবাই প্রায় সমবয়সী। বর্তমানে এই কিশোর গ্যাং চক্র স্থানীয় এওয়াজপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ সাহাবুদ্দিন পন্ডিতের এবং রসুলপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আলম পন্ডিতের রাষ্ট্র মুরুব্বিয়ানা অপব্যবহার করে আত্মরক্ষা পেতে দেখা গেছে। স্থানীয় এই সকল প্রভাবশালী ইউপি সদস্যদের ছত্র-চ্ছায়ায় কিশোর গ্যাং চক্রের দৌরাত্ম চলমান থাকায় গ্রাম বাংলার সকল জনগোষ্ঠিই ভীত-সন্ত্রস্ত ও অতিষ্ঠ জীবন যাপন করতে দেখা গেছে ও জনমনে নাভিশ্বাস উঠেছে। উক্ত কিশোর গ্যাং চক্রের মাথে রয়েছে সত্তর দশকের মঙ্গলীর ধর্ষক ও খুনী গোষ্ঠী, মঙ্গলীর পিতা (জগবন্ধু বা বলার বাপ) এর খুনী গোষ্ঠি মোসলেহ উদ্দিন ও সিরাজ( উভয় পিতা- মৃত মুজাহার, সাং- দুই নং ওয়ার্ড, ইউনিয়ন- এওয়াজপুর, থানা- শশীভূষণ, উপজেলা- চরফ্যাশন, জেলা – ভোলা, বাংলাদেশ) বাহিনী। কথিত আছে যে, ঐ সমাজে শ্রী জগবন্ধু খুনের দায়ে তার স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে সমাজে বর্বরতা-অসভ্যতা-অসত্যকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।