আদালতের নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধার জমি বুঝে পাওয়ার পর রাতের আধারে স্থাপনা ভাংচুর, লুটপাট

রুপান্তর বাংলা -ময়মনসিংহ প্রতিনিধি ঃ– দীর্ঘ ১০ বছর আইনী লড়াই শেষে আদালতের নির্দেশে নিজের জমির দখল বুঝে পেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম তালুদার গংরা। গত সোমবার (২১ নভেম্বর) আদালতের নির্দেশে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জমি বুঝিয়ে দেয়া হয় তাকে। কিন্তু একদিন পার হাতেই রাতের আধারে সন্ত্রাসিরা জমির সাইনবোর্ড ও স্থাপনা ভেঙ্গে গুরিয়ে দিয়েছে। স্থাপনার মালপত্র লুটকরে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। এতে প্রায় ৫লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম জানান, আমার উক্ত জমি জবর দখলকারী আবুল হোসেনসহ তার ৪পুত্র যথাক্রমে নান্টু, মিন্টু, জুয়েল ও রুবেলগংরা স্থাপনা ভেঙ্গে লটুপাট করেছে এবং আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। তারা যেকোন সময় আমি ও আমার পরিবারের লোকজনের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। এব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকষর্ণ করেছেন।
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ শহরের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম তালুকদার ২০০৭ সালে তিনিসহ তার ভায়রা ভাই মঞ্জুরুল হক তালুকদার ঈশ^র গঞ্জের বাসিন্দা নয়ন স্বপনের নিকট থেকে তারাকান্দা উপজেলার গোপালপুর বাজার এলাকায় ২২ শতাংশ জমি সাবকাওলা দলিলমূলে ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছিলেন। পরবর্তীতে স্থানীয় প্রভাবশালী আবুল হোসেন উক্ত জমি বেআইনী ভাবে বেদখল করে নেয়। এব্যাপারে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ফুলপুর এ মামলা দায়ের করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম তালুকদার। দীর্ঘদিন আইনী লড়াই শেষে বিজ্ঞ আদালত বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম তালুকদার গংদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশে গত ২১/১১/২০২২ ইং তারিখে প্রশাসনের পক্ষথেকে তাকে জমি বুঝিয়ে দেয়া হয়। জমি দখল দেয়ার সময় একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় বিবাদী আবুল হোসেনের ৪পুত্র যথাক্রমে নান্টু, মিন্টু, জুয়েল ও রুবেল বাধার সৃষ্টি করে। কিন্তু বাধা উপেক্ষা করে প্রশাসন বেদখলকৃত জমি মুক্ত করে তাকে বুঝিয়ে দেন। এসময় বাদী বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম তালূকদাকে বিবাদীর লোকজন বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি প্রদান করে।
জমি বোঝে দেওয়ার একদিন পরই আবুল হোসেন ও তার ছেলেরা স্থাপনা ভেঙ্গে স্থাপনার মালপত্র লুটকরে নিয়ে যায়।