ময়মনসিংহ থেকে সিরাজুল হক সরকারঃ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার দুল্লা ইউনিয়নের চন্ডীমন্ডপ গ্রামের নিলুফা বেগম ও তার ৭ ভাইবোন পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে, কিন্তু প্রভাবশালীদের দখলে থাকা সম্পত্তি ফিরে পাচ্ছে না।প্রভাবশালীরা তাদেরকে প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
শনিবার সকাল ১১টায় হতদরিদ্র নিলুফা বেগম মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবে এসে তার পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিবরণে জানাযায় চন্ডিমন্ডপ গ্রামের ডেঙ্গু সেক সিএস রেকর্ড মূলে ৩১.০৬ একর জমি রেখে মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার পর তার দুই পুত্র নিয়ামত ফকির ও ইন্নত আলী ফকির জমির মালিক হন। কিন্তু ডেঙ্গু ফকির সংসার জীবনে উদাসীন থাকায় তার এ বিশাল সম্পত্তি বিভিন্ন লোক জন আরওআর রেকর্ড করে নেয়।
পরবর্তীতে উক্ত জমির মধ্যথেকে ১২.৭৪ একর জমি আদালতে মামলার মাধ্যমে ডেঙ্গু ফকিরের নামে আরওআর রেকর্ড ভুক্ত হয়। উক্তজমি স্থানীয় নগর মন্ডলের পুত্র মোহাম্মদ আলী মাষ্টার ও নিয়ত আলী সরকারের পুত্র সমশের আলী তাদের নামে আরওআর রেকর্ড করে ছিলেন। আদালতের নির্দেশে তাদের রেকর্ড বাতিল হয়ে ডেঙ্গু ফকিরের নামে রেকর্ডভ’ক্ত হয়।
ডেঙ্গুফকিরের পুত্র নিয়ামত ফকির তার অংশের ৬ একর জমি বিক্রি করে দেয় শাহামত আলীর নিকট ডেঙ্গু ফকিরের অপর পুত্র ইন্নত আলী মারাযাওয়ার পর তার জমির অংশের মধ্য থেকে ৫.১২ একর ও ১.২৫ সহ মোট ৬.৩৭ একর জমির মালিক হন তার ৩ পুত্র ও ৪ কন্যা যথাক্রমে,সিরাজুল ইসলাম,সাইফুল,ভুট্টু,ইছামন বেগম, ছালেমন বেগম,লাইলি বেগম, নিলুফা বেগম।
১৯৮৫ইং সালে বিআরএস রেকর্ডে তাদের নামে ২.৩৩ একর জমি রেকর্ড ভ’ক্ত হয়,যার খতিয়ান নং-৯০৩ মৌজা চন্ডিমন্ডপ,মুক্তাগাছা,ময়মনসিংহ। বাকী জমি বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা ভ’য়া কাউলা দেখিয়ে জবর দখল করে রেখেছে। সিরাজুল গংদের নামে রেকর্ডকৃত ২.৩৩ একর জমির মধ্যে ৫১২৯ দাগে .৬৩একর ,৫৩৪৩ দাগে ১.২০একর ,৫১৩২দাগের .৩০ একর জমি বেখল করে রেখেছে স্থানীয় প্রভাবশালী ও বৃত্তশালী ব্যাক্তি মোহসীন মহুরী ও তার দুই পুত্র শরীফুল ও মানিকসহ একই গ্রামের কালাশেকের পুত্র দারগ আলী।
উল্লেখ্য যে বিআরএস রেকর্ডভ’ক্ত ২.৩৩ একর ভুমির মধ্যে মাত্র .২০ একর জমি তাদের নিজ দখলে রয়েছে অবশিষ্ট ২,১৩ একর ভূমি প্রভাবশালী ভ’মি খেকোদের জবর দখলে।মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবে ১০ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১১ টায় ইন্নত আলীর কন্যা হত দরিদ্র নিলুফা বেগম সাংবাদিকদের জানান তারা ৭ ভাইবোন সবাই হত দরিদ্র। পৈত্রিক সম্পত্তি থাকা সত্তেও তারা তাদের সম্পত্তি ভোগদখল করতে পারছে না।
প্রভাবশালীরা তাদের জমিতে প্রবেশ করতে দিচ্ছেনা। তারা তাদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল সহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার ভয় দেখাচ্ছে । তারা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ সহ আইন প্রয়োগ কারী সংস্থার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এব্যাপারে হত দরিদ্রদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।