কাজের দীর্ঘসুত্রিতায় বাকৃবি উন্নয়নের ৬৫৯ কোটি টাকা ফেরত গেছে

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ২৬ ডিসেম্বর। ময়মনসিংহস্থ বাংলাদেশ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়র(বাকৃবি) উপাচার্য্য প্রফেসর ড.
লুৎফুল হাসান মন্টুর বিরুদ্বে ডিপিপি বাস্তায়নে ব্যার্থতা, অনুপ্রবেশকারী অযোগ্য ব্যক্তিদের দিয়ে প্রশাসন পরিচালনা,
নিয়মিত অফিস না করা, এপিএ বাস্তবায়নে পশ্চাদপদতাসহ আটটি বিষয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন সরকার সমর্থক
গনতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষক ক্যাফেটরিয়ায় সাংবাদিক সন্মেলনে এই সব
অভিযোগ করা হয়েছে। সাংবাদিক সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গনতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম একাংশের সাধারন
সম্পাদক প্রফেসর ড. পুর্বা ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন সভাপতি প্রফেসর ড. এম এ এম ইয়াহিয়া খন্দকার, প্রফেসর ড.
মুন্জুরুল আলম চম্পক, প্রফেসর ড. এমদাদুল হক, প্রফেসর ড সাইদুর রহমান, এবং অনুষদীয় প্রধানগন। পুর্বা ইসলাম
বলেন, এসব বিষয়ে আমরা দীর্ঘদিন অবিভক্ত ফোরামে আলোচনা করে কোন ফলাফল পাইনি। পরে আমাদের নিবৃত করতে
ভিসি মহোদয় ফোরামকেই দুইভাগে বিভক্ত করে ফেলেন। পরে গতবছর এপ্রিল মাসে আমরা আলাদা ফোরাম করে আন্দোলন

করছি। পুর্বা ইসলাম আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ৬৫৯ কোটি টাকার কাজ করতে না পারায় ফেরত গেছে।
অথচ শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি),বরিশাল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বকৃবি), জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়
দ্বিতীয়দফার অর্থ বরাদ্দ পেয়ে কাজ শুরু করেছে। তিনি নিয়মিত ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থাকছেন, বিশ্ববিদ্যালয়
ডিজিটালাইজেশনে বাংলাদেশ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয় অনেক পেছনে রযেছে। বাসভবন ছাড়াও একটি বাসা অবৈধভাবে ব্যবহার
করছেন, বাসা বরাদ্দের ক্ষেত্রেও অনিয়ম করছেন, নিয়োগে অনিয়ম করেছেন। অবিভক্ত ফোরামেও আমরা এসব আলোচনা
করেছি তাহাতে কোন কাজ হয়নি। বরং ফোরামের সাংগাঠনিক অবস্থা দুর্বল করতে বিভক্ত করেছেন। ভিসির এসব
অনিয়মে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংশের হাত থেকে রক্ষার জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান পুর্বা ইসলাম।