রুপান্তর বাংলা –মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: মুক্তাগাছায় গত বছরের ৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের সময় শহরের নতুন বাজার এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের হাতে এসএসসি পরীক্ষার্থী শান্ত খুন হয়। এঘটনায় পুলিশ ওইদিন রাতেই শান্ত চৌহান, রাজিব-১, রাজিব-২ ও সাজ্জাত হোসেন শিমুলকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে একজনের কাছে চা পাতি ও নেশা জাতীয় ইনজেকশন পায়। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শান্ত চৌহানকে রেখে রহস্যজনক কারনে বাকিদের পুলিশ ছেড়ে দেয়। নিহতের পিতা মোঃ মতিউর রহমান মতি মুক্তাগাছা পৌরসভা কাউন্সিলর বাদি হয়ে মুক্তাগাছা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলা নং ৬, তারিখ: ০৭/১০/২০২২ইং।
উক্ত ঘটনা তদন্তে পুলিশ মাঠে নামে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কান্দিগাঁও সাইদুল ইসলামের (রাজা) পুত্র রবিউল হাসান শুভ, একই গ্রামের বাবর আলীর পুত্র মোঃ লিমন ও সৈয়দপাড়া গ্রামের আক্কাছ আলীর পুত্র আশিককে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা খুনের সাথে জড়িত বলে তদন্ত কর্মকর্তা জানায়।
এদিকে রবিউল হাসান শুভর দাদা প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা কালম মিয়া, লিমনের পিতা বাবর আলী ও আশিকের পিতা আক্কাছ আলী অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ পূর্বের ধৃত আসামিদের (যাদেরকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে পরে ছেড়ে দেন) দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাদেরকে না ধরে মিথ্যা কথা বলে আমাদের ছেলেদেরকে ডেকে এনে গ্রেপ্তার করে। তদন্ত কর্মকর্তার দাবিকৃত অর্থ পূরণ না হওয়ায় তাদের রাতভর নির্যাতন করে খুনের স্বাীকারোক্তি আদায় করে এবং পরবর্তীতে ১৬১ ধারায় আদালতের মাধ্যমে জবানবন্ধী গ্রহন করায়।
এব্যাপারে শুভর দাদা কলম মিয়া, লিমনের বাবা বাবর আলী ও আশিকের বাবা আক্কাছ আলী বলেন, আমাদের ছেলেরা এঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নয়। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করলে প্রকৃত খুনি কে তা বের হয়ে আসবে।
এব্যাপারে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল আওয়ামী ক্লাবের সভাপতি মোঃ কলম মিয়া প্রধানমন্ত্রী বরাবর তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক রুবেল বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা ঘোষ দাবি, এজহারে নাম না থাকা সত্তেও তার নাতিকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি নেওয়ার অভিযোগ করেন।
মুক্তাগাছা শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক রুবেল এর সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, শান্ত হত্যা মামলায় এপর্যন্ত ৬জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় ধৃত আসামি রবিউল হাসান শুভ ও লিমন বিজ্ঞ আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধী দিয়েছে। এতে কারও হাত নাই। বিষয়টি এখন আদলতের এখতিয়ার। তিনি বলেন, আসামিদের বাঁচানোর জন্য প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমি কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়নি।
নিহতের পিতা মতিউর রহমান মতি জন সম্মুখে বলেন, আমার পুত্র হত্যার সাথে যারা জড়িত শুধু তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হোক। নিরপরাধ কোন ব্যক্তি যেন শাস্তি না পায়।
রপান্তর বাংলা অনিয়মের বিরুদ্ধে, সত্যের পক্ষে
