রপান্তর বাংলা অনিয়মের বিরুদ্ধে, সত্যের পক্ষে
রুপান্তর বাংলা সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা : সাতকানিয়া উপজেলায় কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না কৃষিজমি থেকে মাটি কাটা। রাতের অন্ধকারে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটায়। এতে দিন দিন কমে যাচ
শনিবার রাতে দেখা গেছে, উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়নের উত্তর ঢেমশা এলাকার রেলরাস্তার পাশে থেকে দুই ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি করছে।
এ ছাড়া উপজেলার ছদাহা, কেঁওচিয়া, নলুওয়াসহ, বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষিজমির মাটি কাটা হচ্ছে। কৃষি জমির মাটি কাটায় স্থানীয় কৃষক’রা বাধা দিলেও তা বন্ধ হচ্ছে না। এস্কেভেটরের মাধ্যমে এমনভাবে মাটি কাটছে যে, একটু বৃষ্টি হলেই পাশের কৃষিজমি ভেঙে পড়বে। এতে একদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক। অন্যদিকে লাভবান হচ্ছে মাটির ব্যবসায়ীরা।
অভিযোগ রয়েছে, মাটি কাটার সাথে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা জড়িত থাকায় স্থানীয় লোকজন ভয়ে তাদের কিছু বলতে পারে না। এমনকি প্রশাসনও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় না।
জাহের সিকদার নামে ঢেমশা ইউনিয়নের এক কৃষক জানান, প্রথমে পাশের জমি থেকে ১৫-২০ ফুট গভীর করে এস্কেভেটর মাধ্যমে মাটি কাটা হয়। পরে জমিটি ভেঙে পড়ে। এতে ওই জমি আর চাষ করা সম্ভব হয় না। এ রকম জমি ভেঙে পড়লে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাবে। কৃষকেরা বাধা দিয়েও মাটি কাটা বন্ধ করতে পারছেন না।
স্থানীয়রা জানান, দিনের বেলায় মাটি কাটা বন্ধ প্রশাসনের আইওয়াশ মাত্র। মাটি ব্যবসায়ীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সখ্যতা করেই চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের এ কর্মযজ্ঞ। থানা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে। গণমাধ্যমকর্মীরা দায়িত্বশীলদের বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বললেও তারা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ জোহারাকে, মাটি কাটার বিষয়ে তথ্য জানানোর পরও এখনও কোনও ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
