প্রভাবশালীদের প্রভাবে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত দীঘিনালায় বলাৎকারের স্বীকার ভুক্তভোগী-

রুপান্তর বাংলা খাগড়াছড়ি জেলা সংবাদদাতা- খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও প্রভাবশালী মহলের প্রভাবে ন্যায় বিচার পায়নি বলাৎকারের স্বীকার হওয়া ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।

জানাযায়, জেলার দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউপির ৫ নং ওয়াডের কাঁঠাল বাগান এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোহাম্মদ নুরুল আলম কতৃক একই এলাকার এসএসসি পরিক্ষার্থী (১৬) কে দীর্ঘদিন ধরে বলাৎকার করার চেষ্টা করে আসছে। সর্বশেষ ১৯ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে জরুরি কথা আছে বলে আড়ালে ডেকে নিয়ে বলাৎকার করার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী হাতেনাতে ধরে ফেলে। ভূক্তভোগি পরিবার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে লিখিত আবেদন করেন সমাজের সভাপতি ডাক্তার শফিকুল ইসলামের নিকট। অভিযুক্ত নুরুল আলম সমাজের সভাপতির ডাক্তার শফিকুল ইসলামের আপন ভায়রা ভাই হওয়ায় সমাজে বিচার পায়নি বলে জানান ভুক্তভোগী ও পরিবার।

পরবর্তীতে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ হোসেনের শরণাপন্ন হয়েও বিচার না পেয়ে দীঘিনালা থানায় অভিযোগ করতে গেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ হোসেন, এস আই ইমরানসহ নানা ভাবে ঘুরিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীদের প্রভাবে থানায় অভিযোগ নেয়নি। ইউপি সদস্য মোহাম্মদ হোসেন বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধান করে দিবে মর্মে ভুক্তভোগীকে থানা থেকে নিয়ে আসেন। অভিযুক্ত নুরুল আলম অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও বৃত্তশালী হওয়ায় টাকার বিনিময়ে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা ম্যানেজ করে সামাজিক বিচার একচেটিয়া ভাবে করার চেষ্টা করলে ভুক্তভোগী সামাজিক বিচারকদের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলে।

পরবর্তীতে গত ২৯ জানুয়ারি ভুক্তভোগীর পক্ষে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসী মেরুং হাইস্কুলের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করতে চায়। এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের দাওয়াত দেওয়া হয়। মানববন্ধন যাতে হতে না পারে এবং বলাৎকারের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ২৮ তারিখ রাতেই স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা, ইউপি সদস্য মোহাম্মদ হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা রহমান কবির রতন, আওয়ামী লীগ নেতা মেরুং হাইস্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি সোলায়মান, আব্দুর বহমান মেম্বার সহ পুলিশ প্রশাসন দ্বারা রাতের মধ্যেই ভুক্তভোগীর বাড়ি ঘেরাও করে এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিভিন্ন ভাবে মামলা হামলার ভয় দেখায়। ভুক্তভোগীকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না দেয়া সহ বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক বাধ্য করে মুচলেকা নিয়ে ২০ হাজার টাকা ভুক্তভোগীর বাসায় রেখে চলে আসে বলে জানায় ভুক্তভোগীর মা আনোয়া বেগম ( যা অডিও রেকর্ড আছে)।

পরদিন ২৯ জানুয়ারি সকাল ১০.০০টায় স্থানীয় সাংবাদিক ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন মানববন্ধনের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে স্থানীয় সাংবাদিকদের সামনেই , উল্লিখিত প্রভাবশালী নেতারা পুলিশ প্রশাসন দিয়ে ভুক্তভোগীর পক্ষে এলাকাবাসীকে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি ও মারধর করে সরিয়ে দিয়ে মানববন্ধন করতে দেয়া হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান অভিযুক্ত নুরুল আলম বৃত্তশালী ও প্রভাবশালী ডাক্তার শফিকুল ইসলামের আত্নীয় ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য হওয়ায় প্রশাসনের একটি অংশ এবং স্থানীয় প্রভাবশালীদের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়। তবে এ বিষয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করলেও প্রভাবশালীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। বর্তমানে অসহায় দিনমজুর ভুক্তভোগীর পরিবার ও এস এস সি পরীক্ষার্থী ভূক্তভোগীসহ স্বাক্ষীগন কারো সাথে কথা বলতেও ভয় পায়। প্রভাবশালীদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছে। নুরুল আলম কতৃক বলাৎকারের বিষয়টি বিভিন্ন গন-মাধ্যমে আসলে অনেক ভাবে গণমাধ্যমে কর্মীকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করা হয়।