৩৫ বছর পূর্বে জমি কিনেও দলিল পায়নি

রুপান্তর বাংলা ময়মনসিংহ প্রতিনিধি ঃ
৩৫ বছর পূর্বে চাচার কাছ থেকে জমি ক্রয় করে। এখনো দলিল রেজিস্ট্রি করে দেয়নি চাচা ইউনুছ আলী। জমির দলিল করে দিতে বললেও চাচা বলছে জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়েছি। কিন্তু বাস্তবে জমির কোন দলিল পায়নি হতদরিদ্র ভিক্ষুক জুবেদা খাতুন। জুবেদা টাঙ্গাইল শহরে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করে।
জানাযায়, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার দাওগাও ইউনিয়নের দাওগাও গ্রামে তার পৈত্রিক বাড়ী। বিয়ে হয় ফুলবাড়ীয়া উপজেলার পুটিজানা গ্রামে। ১৯৮৮ সনে বন্যার সময় টাঙ্গাইল চলে গিয়ে বসবাস শুরু করে। ৮৫ সনের দিকে তার চাচা ইউনুছ আলীর কাছ খেকে সাড়ে ৩ শতাংশ জমি ক্রয় করে বাড়ী করার সময় চাচা জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়ার কখা কিন্তু দেয়নি। টাঙ্গাইলে বসবাস করতে থাকে অন্যের বাড়ীতে। বর্তমানে গুচ্ছগ্রামে অন্যের আশ্রয়ে থেকে কোনক্রমে বসবাস করে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করছে। চাচা ইউনুছ আলীর কাছে জমির কথা বললে সে জানায় জমিতো রেজিস্ট্রি করে দিয়েছি। এব্যাপারে অফিসে তালাশি দিয়ে জমি রেজিস্ট্রির কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। অফিস থেকে জানানো হয় এই নামে কোন জমি রেজিস্ট্রি হয়নি। জুবেদা জানায়, শেষ সম্বল এই জমি টুকু পেলে বৃদ্ধ বয়সে নিজ ভিটায় ফিরে যেতে পারতাম। চাচা ইউনুছ আলীকে জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়ার কখা বললে একবার জমি কাওয়া করে দিয়েছি আর কাওলা করে দিতে পারব না। খুঁজ নিয়ে জানাযায়, মুক্তাগছা উপজেলার পুড়াবাড়ী মৌজার আরও আর দাগ নং ১১৬৮, বিআরএস দাগ নং২৮৯২ দাগের জমি তার চাচা ইউনুছ আলীর নামে রেকর্ডভ‚ক্ত হয়েছে যার খতিয়ান নং ২৬০। চাচা প্রতারণা করে ভাতিজী জুবেদার কাছে বিক্রি করা সাড়ে ৩শতাংশ জমি তার নিজ নামে রেকর্ড করেছেন। এব্যাপারে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।