মুক্তাগাছায় জাল দলিলের মাধ্যমে জমি আত্মসাতের পায়তারা

রুপান্তর বাংলা ময়মনসিংহ প্রতিনিধি ঃ
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় একটি জালিয়াত চক্রের জাল দলিলের মাধ্যমে ২.৫৩ একর সম্পত্তি আত্মসাতের নীলনকশা। অবশেষে গোমড় ফাঁস। সালিশে ধরা খেল জালিয়াত চক্র। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ঘোগা ইউনিয়নের জামগড়া গ্রামে।
জানাযায়, উপজেলার জামগড়া গ্রামের আলহাজ আক্তারুজ্জামান প্রায় ৪০ বছর পূর্বে জামগড়া মৌজার আরও আর দাগনং ২৮, বিআরএস দাগ নং ১৩০,১৩১,১৩২ এ মোট ২.৫৩ একর জমি ক্রয় করে নিজ দখলে নিয়ে চাষাবাদ করে আসছেন যা তার নিজ নামে বিআরএস রেকর্ডভ‚ক্ত হয়। ২০১৩ সালে স্থানীয় কিছু টাউট শ্রেণির লোকের সহায়তায় একই গ্রামের মৃত নায়েব আলীর পুত্র শুকুর মাহমুদ উক্ত জমির ৩ টি জাল দলিল সৃষ্টি করে উক্ত সম্পত্তি জবর দখলের পায়তারা করে। কিন্তু ্আক্তারুজ্জামানের বাঁধার মুখে দখল করতে না পেরে ২০১৩ সালে ময়মনসিংহ ল্যান্ড ট্রাইবুনালে শুকুর আলী বাদী হয়ে মামলা করে। যার নং ২৩/২০১৩, তাং ৫/৯/২০১৩। উক্ত মামলায় বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারায় শুকুর আলীর মামলাটি তার বিপক্ষে যায়। এতেও শুকুর মাহমুদ ক্ষান্ত হয়নি। জমির দিকে তার লোলুপ থেকেই যায়। জমি পেতে সে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করে। কিন্তু সেখানেও হেরে যান। পুনরায় থানায় অভিযোগ দিলে ২০২২ সালে মুক্তাগাছা থানায় এ নিয়ে উভয়ের কাগজপত্র পর্যলোচনা করে দেখা যায়, জমির বৈধ মালিক আকতারুজ্জামান। ধান কাটা শেষে জমি পরিমাপ করে যারযার সীমানা নির্ধারণ করবেন। কিন্তু শুকুর মাহমুদ দীর্ঘদিন জমির কাগজপত্র দেখাতে টালবাহানা করতে থাকে। অবশেষে ১২/২/২০২৩ তারিখে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ইউপি মেম্বার/চেয়ারম্যান সমন্বয়ে একটি সালিশ অনুঠিত হয়। সালিশে শুকুর মাহমুদ ৩টি দলিল উপস্থাপন করলে সালিশীগণ দলিলগুলো যাচাই বাছাই কালে জাল দলিল বলে সনাক্ত করেন। এতে উপস্থিত লোকজন বিষ্ময় প্রকাশ করেন। তার মতো একজন বয়স্ক ব্যাক্তি কি করে কুচক্রি মহলের প্ররোচনায় জড়িয়ে সম্পত্তির লোভে এমন হীনকাজ করতে পারে। উপস্থিত সালিশীগণ এমন গর্হিত কাজের নিন্দা জানায়। এব্যাপারে জাল/ ভ‚য়া দলিল সৃষ্টিকারীর বিরোদ্ধে সিআইডি,পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন ভূক্তভোগী পরিবার। যাতে ভবিষ্যতে নিরীহ সাধারণ মানুষ জাল এহেন হয়রানীর শিকার না হয়।