রুপান্তর বাংলা প্রতিনিধিঃ গফুর বাদশাঃ- রুপান্তর বাংলা পত্রিকায় বিগত ০৭/০২/২০২৩ইং তারিখের শিরোনামে প্রকাশিত সরকারের নিবন্ধন ও অনুমোদনবিহীন ভূঁইফোড় সংগঠন ৭১ এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ এর প্রধান সিন্ডিকেট মোঃ কওছর আলী গং কর্তৃক প্রতারণার ফাঁদে সাধারণ জনগণ জিম্মি বিষয় সংক্রান্ত প্রকাশিত হওয়ার পর ধারাবাহিকভাবে উপরোক্ত বিষয়ে সারাদেশের জনসাধারণের অবগতির জন্য আরো সংবাদ প্রচার করা যাচ্ছে যে,
৭১ এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল এর নিকট হইতে বিগত ২৭/০৯/২০১৭ ইং তারিখে জামুকা নিবন্ধন নং ২৩৯/২০১৭ মূলে নিবন্ধন লাভ করেন এবং পরবর্তীতে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল এর বিগত ১৩/০২/২০২০ইং তারিখের ৬৭তম সভার আলোচ্য সূচী নং ১৩.২ অনুসারে বাতিল করা হয়।
বাতিল হওয়ার সত্ত্বেও উক্ত সংগঠন এর সিন্ডিকেট প্রধান রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বাসিন্দা কওছর আলী গংদের অধীনে অন্যান্য সদস্যগণ যথাক্রমে মোঃ হারুন ভুইয়া, আবদুল আমিন দুলাল, মোঃ আব্দুল মালেক, মোঃ আব্দুল খালেক, মোঃ আসাদুজ্জামান ছোটন সিন্ডিকেট চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত হইতে রাঙ্গামাটির সদরে ৫১(একান্ন) সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি (সূত্র: বিগত ০৮/০৮/২০১৯ ইং তারিখের দৈনিক গিরিদর্পণ হইতে সংগৃহীত) ও লংগদু উপজেলাতে ৩১ (একত্রিশ) সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি (সূত্র: বিগত ৩০/০৮/২০১৯ ইং তারিখের দৈনিক গিরিদর্পণ হইতে সংগৃহীত) কমিটি গঠন করে তথাকথিত নাম সর্বস্ব সরকারের নিবন্ধন ও অনুমোদনবিহীন ৭১ এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের এর অধীনে উক্ত সংগঠনের পরিচয় পত্র প্রদান পূর্বক নাম ব্যবহার করে সাধারণ জনগনকে সরকারি বেসরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়া সহ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিভিন্ন সরকারি ভাতা প্রদানসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা করিয়া দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে অর্থ আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতি নিয়ে সহজ সরল লোকদের সাথে প্রতারণা করে আসছে।
তৎপ্রেক্ষিতে, কওছর আলী গং দের বিরুদ্ধে মোহাম্মদ আলিম উদ্দিন নিজে এবং অন্যান্য ভুক্ত ভূভোগীদের পক্ষে বিগত ২৮/১১/২০২২ইং তারিখে সদয় অবগতির জন্য যথাক্রমে ০১. মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা-১০০০, ০২. মাননীয় সচিব মহোদয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা-১০০০, ০৩. মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাষ্ট, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, ঢাকা-১০০০, ০৪. মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) জাতীয় স্কাউট ভবন, ঢাকা-১০০০, ০৫. সম্পাদক, রূপান্তর বাংলা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় ৩৬/২ কাকরাইল, ঢাকা-১০০০, বরাবরে আবেদন করেন।
এতদ সত্বেও কওছর আলী গং সারাদেশে বিভিন্ন সিন্ডিকেট গড়ে তুলে অবৈধ ও বেআইনি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ইহাতে স্থানীয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে এবং তাহাদের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোন আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। উক্ত সিন্ডিকেট এর বেআইনি ও অবৈধ কার্যক্রমের ফলে দেশের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা বঞ্চিত হচ্ছে। বিগত ০৭/০২/২০২৩ইং তারিখে উপরোক্ত শিরোনামে বর্ণিত সংবাদ প্রচার হওয়ার পর বনরূপাস্থ ক্যাফে দাওয়াত নামক রেস্তোরায় রূপান্তর বাংলার প্রতিনিধিগণ কওছর আলীর মতামত জানতে চাহিলে তিনি বিভিন্ন সময়ে এলোমেলো কথাবার্তা বলতে থাকেন এবং উক্ত সংগঠনের বৈধতার বিষয় সংক্রান্ত কোন বৈধ কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেননি। একপর্যায়ে তিনি উক্ত বৈঠকে রূপান্তর বাংলা প্রতিনিধিদের সাথে অশোভন আচারণ করিয়া মিথ্যা মামলার করার ভয় দেখিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
তাই তাহাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা একান্ত আবশ্যক। অন্যথায় দেশের সাধারণ সরল সহজ জনগণসহ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অপূরণীয় ক্ষতি সাধন হওয়া আশঙ্কা বিদ্যমান রয়েছে।