রাজস্থলীতে সরকারি সুযোগ সুবিধায় রেকর্ড জামাত বিএনপি’ সন্ত্রাসীদের দাপটে চলছে সাম্রাজ্য,

আব্দুল কাদের বিশেষ প্রতিবেদক –বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, দীর্ঘ বছর টানা ক্ষমতায় থাকার পরেও দলীয় কোন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থক ও কর্মীগণ। গ্রামের উন্নয়নে যত ধরনের সাহায্য সহযোগিতা বর্তমান সরকার করে যাচ্ছেন। তার চার ভাগের এক ভাগও স্থানীয় আওয়ামী লীগ সদস্য ও সমর্থকরা পাচ্ছেন না বলে গুরুত্ব অভিযোগ উঠেছে । রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার সফিপুর গ্রামে
উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত বেশিরভাগ বাঙালিরা জামাত বিএনপির সমর্থক ও কর্মী, দলীয় বিভিন্ন পোস্ট পদবী নিয়ে রাজনীতির সাথে জড়িয়ে আছেন দীর্ঘ বছর যাবত।তাদের মধ্যে বেশিরভাগ লোক অবৈধ কাঠ ব্যবসায়ী, করেন অবাধে মদ গাজা ও ইয়াবার ব্যবসা।তাদের সাথে স্থানীয় প্রশাসনের কতিপয় ব্যক্তি ও সরকার দলের কতিপয় নেতাদের সঙ্গে রয়েছে গভীর সম্পর্ক।
টিসিবি, ভিজিডি কার্ড, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা সহ সকল সুযোগ সুবিধায় বিএনপির জামাত এর নেতাকর্মীরা শীর্ষ স্থানে আছেন উপকার ভোগির তালিকায় রয়েছে তাঁদের নাম। অনুসন্ধানে গিয়ে এসব বের সত্যতা পাওয়া যায়। গৃহহীন ব্যক্তিদের জন্য সরকার যে ঘর তৈরি করে দিচ্ছেন, সফিপুর গ্রামের দুই একজন ব্যক্তি ছাড়া বাকি সবাই জামাত বিএনপির নেতাকর্মী পেয়েছে। চাকরি সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন তারা ।এসব বিষয়ে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন জন্মের পর থেকেই আমরা আওয়ামী লীগ করে আসছি বর্তমান সরকার আমাদের দলীয় সরকার? সরকার ক্ষমতায় থাকার পরেও আমরা দলীয় কোন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না। সকল সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন বিএনপি জামাতের নেতাকর্মীরা কিন্তু কেন?? আমরা আগামীতে ভোট থেকে বিরত থাকবো। কাকে ভোট দিব আর কাকে নির্বাচিত করব। দলীয় নেতা নির্বাচিত হলেও যা না হলেও তা। অত্র এলাকায় যদি কেউ সত্য কথা বলে তার ওপর নেমে আসে বিভিন্ন ধরনের মানসিক টর্চার, মামলা ও হামলা। সফিপুর গ্রামটি সেটেলমেন্ট জুনের প্রাণকেন্দ্র। অবৈধ ক্যাবল ব্যাবসাহী, রাজস্থলী উপজেলা বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রিন্স, মসজিদ কমিটি ও কবরস্থান কমিটির কেউ না হয়েও উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের পকেট কমিটি করে দেন। মসজিদ ও কবরস্থানের উন্নয়নের জন্য যত ধরনের বাজেট ও ত্রাণ আসে তা তাদের ব্যক্তিগত পকেট কমিটির কয়েকজন বাগ বাটোয়ারা করে নিয়ে ফেলেন। বিগত ৪০ বছর যাবত অবহেলায় অযত্নে পড়ে আছে সেটেলমেন্ট জুনের জন্য বরাদ্দকৃত এক মাত্র কবরস্থান, যা সফিপুর কবরস্থান নামে পরিচিত। তিন নং বাঙাল হালিয়া ইউনিয়নে বসবাসরত সকল মুসলিমদের জন্য কবর স্থানটি বরাদ্দ, ১,২,৩,৪,৫, নাম্বারে রিফুজি শরণার্থী হিসেবে প্রায় ৭শত পরিবার ১৯৮২-৮৩ সালে দেশের খুলনা, বরিশাল সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসে অত্র এলাকায় বসবাস শুরু করেন।, সকলকে নিয়ে কমিটি করার কথা থাকলেও বিএনপি, জামাতের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় গুটিকয়েক চার-পাঁচজন মিলে গায়ের জোরে কমিটি বানিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন। সরকার অত্র এলাকার মানুষের সুবিধার্থে পাঁচ একর জায়গা কবরস্থানের নামে বরাদ্দ দেন। বিগত চল্লিশ বছর যাবত কবরস্থানের পূর্ণাঙ্গ কোন কমিটি না থাকলেও মসজিদ পরিচালনা কমিটির লোকজন কবরস্থান পরিচালনা করে থাকেন যদিও মসজিদ কমিটির লোক পকেট কমিটি হিসেবে পরিচিত। সকলকে নিয়ে গ্রহণযোগ্যতা পায় এমন একটি কমিটি করার জন্য জৈনিক ব্যক্তি মসজিদে প্রস্তাব রাখিলে বিগত মসজিদ কমিটির লোক, সরাসরি না করে বলেন পাঁচজনের একটি কমিটি রহিয়াছে । কবরস্থানে যেসব গাছপালা রহিয়াছে তারা তা কেটে নিয়ে যাওয়ার পর নতুন কমিটি করা যাবে, জৈনিক ব্যক্তি বলেন এই কমিটি কি তাহলে গাছ কাটা কমিটি । বিষয়টি অনেকের সাথেই কথা বলা হয়েছে ছিল। অনেকেই নিরবে প্রতিবাদ করলেও উপজেলা, ইউনিয়ান ও ওয়াড বিএনপি জামাত এর নেতাকর্মীদের ভয়ে নীরবে সহ্য করে যাচ্ছে তাদের অন্যায় অত্যাচার ও অবিচার,।
মিজানুর রহমান প্রিন্স,কাজী সামাদ,কদ্দুছ ,তালেব,
মাওলা জব্বর এদের নেতৃত্বে মসজিদে প্রায় সময় সরকার বিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য চলে,এবং মসজিদের মাইকে প্রায় সময় দেলোয়ার হোসেন সাঈদী(মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত রাজাকার)র ওয়াজ প্রচার করা হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকার দলের ত্যাগী নেতাকর্মী সহ অসহায় গরীব দুঃখী মানুষ যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।