সূত্রমতে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার ৮নং দাওগাও ইউনিয়নের প্রত্যন্ত পাহাড়ী এলাকা মহেষপুর গ্রামের আঃ খালেক ও তার স্ত্রী অভাবের তারণায় প্রায় ত্রিশ বছর পূর্বে ঢাকা শহরে চলে যান। সেখানে স্বামী স্ত্রী দুজনে মিলে শ্রমিক ও ঝিয়ের কাজ করে সন্তানদের ভরণপোষন করার পর যে কয়টা টাকা আয় হতো সে টাকা দিয়ে এলাকায় জ্ঞাতিগোষ্টি ভাইদের কাছ থেকে কিছু জমি ক্রয় করেন। ১৬ বছর পূর্বে আঃ খালেক মারা যান। সালেহা খাতুন ২ ছেলে নিয়ে এলাকায় ফিরে এসে বসবাস করতে থাকে।
বর্তমানে সালেহা অভাবের তাড়নায় তার ক্রয় কৃত সম্পত্তি বিক্রি করতে গেলে তার সহোদর ভাই হেলাল যে জমি ক্রয় করে দিয়েছিলো সে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ও সন্ত্রাসীদের নিয়ে জমি বিক্রিতে বাধাসহ জবর দখলের পায়তারা করে। এমন কি তার ২পুত্রকে মারধরসহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। তার পুত্র লাল মিয়াকে ঢাকায় বাসায় আটকিয়ে হেলাল হত্যা চেষ্টা করে পরে সেখান থেকে পালিয়ে এসে রক্ষা পায় বলে লাল মিয়া জানায়। হেলাল অতি ধুরন্ধরবাজ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। সে যে কোন সময় বড় ধরণের কোন ক্ষতি করতে পারে। লাল মিয়ার মা সালেহা খাতুন জানান, আমি ঢাকা শহরে ঝিয়ের কাজ করে অতিকষ্টে টাকা উপার্জন করে হেলালকে দিয়েই জমি ক্রয় করিয়েছি। আর সেই হেলালই এখন আমার কষ্টর উপার্জনে টাকায় কেনা সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার জন্য লোক লাগিয়ে আমার সন্তানদের মারধরসহ হত্যার হুমকি কি দিয়ে আসছে। আমার সন্তানেরা নিরাপদে রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে পারছে না। গত ২৮/০৪/২০২৩ তারিখে আমার পুত্র লাল মিয়াকে পথিমধ্যে হত্যার চেষ্টা চালায় হেলাল গংরা। এব্যাপারে লাল মিয়া বাদী হয়ে ময়মনসিংহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর ১০৭/১১৭ ধারায় হেলালসহ ১২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে।
সালেহা খাতুন জানান, হেলাল ও তার লোকজন আমাকে আমার ২ পুত্রকে যেকোন বড় ধরনের ক্ষতি ও প্রাণনাশের চেষ্টা করতে পারে। আমরা তাদের ভয়ে স্বাভাবিক পথে চলতে সাহস পাচ্ছি না। মামলা করার পর তারা আমাদের উপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকাশ্যে প্রাণ নাশের হুমিক দিচ্ছে। এব্যাপারে সালেহা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সুদৃষ্টি কামনা করেন।