নির্বাচনে সরকারি দলের প্রার্থীর সব সুযোগ সুবিধা অন্য প্রার্থীদের হুমকি গাজীপুরের জাহাঙ্গীরের মতো নাজেহাল করলে বসে থাকবো না’

রুপান্তর বাংলা জেলা সংবাদদাতা কক্সবাজার—এটি তো জাতীয় নির্বাচন নয়, স্থানীয় নির্বাচন। এ নির্বাচন করার অধিকার সবার আছে। সরকারি দলের প্রার্থী সব সুযোগ সুবিধা পাবে, অন্য প্রার্থীদের হুমকি ধমকি দেওয়া হবে, কোন সুযোগ সুবিধা পাবে না, তা হতে পারে না।
পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা
গাজীপুরের জাহাঙ্গীরের মতো নাজেহাল করলে বসে থাকবো না’ নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন নাগরিক কমিটির মেয়র প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদ
কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে নাগরিক কমিটির মেয়র প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কর্মকর্তাদের পক্ষপাতমূলক আচরণ ১২ জুন অনুষ্ঠিতব্য পৌরসভার ভোট সুষ্ঠু হওয়ার পথে বড় বাধা। এরপরও আমি আশা করছি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার (২০ মে) রাতে পৌর শহরের ৬ নম্বর রাস্তার মাথায় হক শণ নামে নিজেদের বাসভবনে এক তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে এমন এসব কথা বলেন তিনি।
রাসেদ বলেন, এখনো প্রতীক বরাদ্দ হয়নি। অথচ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী দলীয় প্রতীক ব্যবহার করে পোস্টার-লিফলেটসহ বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি লিখিতভাবে অভিযোগ করার পরও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন। কোনো এক অদৃশ্য শক্তির কারণে তারা বিধি ভঙ্গের বিষয়টি দেখেও দেখছে না। উল্টো আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে আমাকে হয়রানি করছে নির্বাচন অফিস সংশ্লিষ্টরা।

তিনি আরও বলেন, ঈদের সময় আমি সাধারণ মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি বলে আমাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এটি শুধু পক্ষপাতমূলক আচরণের কারণে করেছে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। এরপরও পৌরবাসীকে ধৈর্য ধরে ১২ জুন জনরায়ের প্রতিফলন ঘটানোর আহ্বান জানাচ্ছি। জনগণের রায় কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হলে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্টরা দায়ী থাকবেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও মাসেদুল হক রাশেদের ছোটভাই কায়সারুল হক জুয়েল।

জুয়েল বলেন, ১৯৫৮ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করে আমার বাবা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬৪ সালে বাবার পৈতৃক সম্পত্তিতে আওয়ামী লীগের অফিস দেন। ২০১৪ সাল পর্যন্ত সেখানেই আওয়ামী লীগের অফিস ছিল। এখন আমরাই রাজাকার হয়ে গেছি! এটি তো জাতীয় নির্বাচন নয়, স্থানীয় নির্বাচন। এ নির্বাচন করার অধিকার সবার আছে। সরকারি দলের প্রার্থী সব সুযোগ সুবিধা পাবে, অন্য প্রার্থীদের হুমকি ধমকি দেওয়া হবে, কোন সুযোগ সুবিধা পাবে না, তা হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, মানুষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমার ভাই প্রার্থী হয়েছেন। আমাদের গাজীপুরের জাহাঙ্গীরের মতো যদি নাজেহালের চেষ্টা করা হয়, তাহলে বসে থাকবো না। আমরা আঙ্গুল চুষবো না। পৌরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করবো।

জুয়েল বলেন, আমি ভাইয়ের নির্বাচন করার জন্য হোক বা অন্যকোনো কারণে হোক চারদিন আগে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। কিন্তু নৌকার প্রার্থী মাহবুবুর রহমান ঢাকায় গিয়ে আমাকে বহিষ্কার করেছে বলে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি যেখানে পদত্যাগ করেছি সেখানে আমাকে বহিষ্কারের বিষয়টি হাস্যকর।