রাঙ্গামাটি জেলা প্রতিনিধি রূপান্তর বাংলা –আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করতে,
রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত হোটেল রামবুতে সাংবাদিকদেরকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন -মুক্তিযোদ্ধা পরিবার,
বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী বলেন আমাদের পরিবার আওয়ামী লীগ পরিবার, আমরা অত্র এলাকায় ১৯৮৩ সালে বসতি স্থাপন করেছি, তখনকার সময়ে সরকার প্রতিটি পরিবারকে ৫ একর করে জায়গা প্রদান করেন ১৯৯১ সালে অত্র এলাকায় জরিপ কার্যক্রম চলে তখন জরিপে আমাদের নামে দুই একর দশ শতাংশ রেকর্ডভুক্ত হয়, বাকী দুইএকর ৯০ শতাংশ
রেকর্ড ভুক্ত হয়নি, আমরা লেখাপড়া জানতাম না আমাদের কাগজপত্র অনেক কাটাছেঁড়া ঘষা-মাজা হয়েছিল, ১৯৯২ ও ৯৩ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে স্থানীয় ব্যক্তিরা মিথ্যা মার্ডার মামলা দিয়ে আমার স্বামীর আনসার-ভিডিপির পিসি পদের চাকরি টা শেষ করে দিয়ে বিএনপি’র উপজেলার সহ-সভাপতি মহব্বত আলী চাকরিরটা নেন, চাকরির বিষয়ে আমরা অনেক জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছি কোন লাভ হয়নি ২০০১ সালে আবারো আমার দুই ছেলের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করান। আদালত কর্তৃক মামলা হইতে খালাস পাওয়ার পর আমার দুই ছেলে পুনরায় বাড়িতে আসেন, তারা এসে কাগজপত্র খুঁজে দেখেন বিভিন্ন দাগে তাদের জায়গা রয়েছে সেইসব জাযগা উদ্ধারের জন্য আইন আদালতের দ্বারস্থ হন, জায়গার বিষয়গুলো বর্তমান বিচারাধীন। কবরের জায়গা দখলের বিষয়ে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন , আমরা সবাই মুসলিম আমাদেরকে সেই কবরে যেতে হবে আমরা কেন কবরের জায়গা নিতে যাবো, মূলত কবরের জায়গার পাশের সীমানাটা আমাদের কবরস্থান রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মূলত একটি কমিটি থাকার কথা থাকলেও বিএনপি-জামায়াতের কয়েকজন দুষ্কৃতকারী ব্যক্তি মিলে একটি পকেট কমিটি করেছে তারা এবং তাদের দোসর গণ ১৯৮৩ /৮৫ সাল হতে অদ্যবধি কবরস্থানের জন্য বরাদ্দকৃত জায়গার গাছ গাছালি দান ও অনুদান বাগ বাটোয়ারা করে খেয়ে যাচ্ছে। মূল রাস্তার সাথেই তরুণ সংঘ ক্লাবের জায়গা ১ একর তার পিছনেই হল আমাদের দুই একর ২৫ শতক কবরস্থানের বর্তমান পকেট কমিটি রা তরুণ সংঘের এক একর জায়গার সঙ্গে সোজাসুজি করে পিলার ঘেরে দেন, আমরা আমাদের জায়গাতে বনজ গাছ কেটে পরিষ্কার করে ফলজ গাছ রোপণের জন্য চেষ্টা শুরু করেছি ঠিক তখনই তারা এসে বাধা প্রদান করেন, আমাদের নিকট মাঠ পর্চা ও কাগজ আছে জায়গাটিতে আমিন কানুনগো এনে সঠিকভাবে মাপ দিলে বুঝা যাবে আসলে জায়গা কার। উপজেলার বিএনপি সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রিন্স এর নেতৃত্বে চলছে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, সে বিভিন্ন লোকের নিকট কবরস্থানের জায়গা মাপা ও কমিটি হবে বলে কাগজে সই নিয়েছে, অথচ সেসব সই গুলো আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে দরখাস্তর সাথে গেঁথে দিয়েছে। কবরস্থানটি জোন এ বসবাসরত সকল মুসলিমদের জন্য হলেও বিএনপি’র পাতি নেতা মিজানুর রহমান প্রিন্সের নেতৃত্বে ৪/৫ জনের পকেট কমিটি তা ভোগ দখল করে খাচ্ছে। বেশ কিছুদিন আগে মসজিদ কমিটির সভাপতির পদ হইতে প্রথমে দোকানদার সালাম ও পরবর্তীতে জুলহাস সদাগর কে বাদ দিয়ে তার আত্মীয় কাজী সামাদ কে সভাপতি করেন উক্ত মসজিদটি ১৯৯৮/ ৯৯ সালে স্থাপিত হলেও ব্যক্তিগত লাভের আশায় সুকৌশলে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন ১৯৮৫ সালে স্থাপিত, আপনারা সাংবাদিক মানুষ আপনারা তযন্ত করে দেখেন ঘটনা সত্যি না মিথ্যা। আমি আমার স্বামী আমার এক ছেলে ও মেয়ে অত্র এলাকার ভোটার, আমার বড় ছেলে চাকরির সুবাদে অন্য স্থানে ভোটার হয়েছে বলে কি সে আমার সন্তান নয়, সে এই জায়গার বাসিন্দা হবে না?? সেকি আমেরিকার বাসিন্দা?? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, আমার ছেলে বিয়ে করেছে অন্য এক জেলা থেকে, আমার ছেলের বউ আমার বাড়িতে থেকে দুই তিন বাচ্চার মা হয়েছে সেকি অত্র এলাকার স্থায়ী নয়?? জায়গার বিষয় নিয়ে স্থানীয়ভাবে বসার কথা থাকলেও তারা বসে নাই তারা থানায় অভিযোগ করেন, থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই থানা-পুলিশ পাঠান, ঘটনাস্থলে এসে থানাপুলিশ দেখেন দেখে ওদের কে বলেন স্থানীয় মুরুব্বী জনাব রশিদ আকনের মাধ্যমে সমাজের আরো কিছু মুরব্বিদের কে নিয়ে আগে কবরস্থানের জায়গা মেপে নেওয়া হোক, জায়গা মেপে নেওয়ার পর থাকলে আমরা পাবো না থাকলে নাই, জায়গা মাপার দিন পুলিশের পক্ষ হতে আমি উপস্থিত থাকবো, চার-পাঁচটা গাছ কাটা হয়েছে তা যদি কবরস্থানের মধ্য পড়ে তাহলে আমরা জরিপানা দিব আর না পরলে নাই। এভাবে কথা বললে থানার দারোগা সাইফুল ইসলাম চলে যান,
মুরুব্বী রশিদ আকন আরো কয়েকজন মুরুব্বী কে নিয়ে বসতে চেয়েছিলেন, বিএনপির পাতি নেতা মিজানুর রহমান প্রিন্স ওদের নিয়ে বসবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়ে বিভিন্ন দপ্তর প্রধান বরাবর আবারও অভিযোগ দিতে থাকেন, আবারো থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ একজন এসআই এর নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ পাঠান, পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন এসে স্থানীয় লোকদের কে নিয়ে বসেন সমস্যা সমাধানের রাস্তা বাহির করার চেষ্টা করেন যেহেতু উক্ত ঘটনাস্থল জায়গাটি উভয়ে দাবিদার, থানাপুলিশ তখন জায়গার কাগজ আনতে বললে তারা দুই সপ্তাহের সময় চেয়ে নেন, ৬ দিন যেতে না যেতেই রাঙ্গামাটিতে তারা সাংবাদিক সম্মেলন করলেন, যারা সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি তারা বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মী, তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংস আন্দোলনে যোগদান করে জ্বালাও-পোড়াও কার্যক্রম পরিচালনা করা তাদের নিত্য সঙ্গী, আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখুন মিজানুর রহমান প্রিন্স অবৈধ ডিশ ব্যবসায়ী, তালেব অবৈধ গাছ ব্যবসায়ী, আব্দুল আওয়াল নারী কেলেঙ্কারির জন্য, মসজিদ কমিটি থেকে বহিস্কৃত, বেশ কয়েকটি মামলার আসামি, জব্বার লাইসেন্সবিহীন গাড়ির ড্রাইভার। মাওলামিয়া দিনমজুর ও মসজিদ লগ্ন হতে কেশিয়ার।
