মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: মুক্তাগাছার তারাটি এলাকায় সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে তারাটি পূর্বপাড়া (ফকির পাড়া) এলাকার বিল্লাল ফকিরের বাড়িতে। জানাযায়, গত সোমবার বিকেলে তারাটি পূর্ব পাড়া এলাকার মোমিনুল, লিংকন, সিফাত ও রাশেদ ইসলাম, খাইরুলের নেতৃত্বে ১৫/২০জনের একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দল আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিল্লাল ফকিরের বাড়ি ও তার আশপাশ এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির করে জনমনে ভয়ভীতি সৃষ্টি করে। বাড়ির আঙ্গিনায় ধান মাড়াই কল, ট্রাক্টার, স্যালো ইঞ্জিন ভাংচুর করে। সন্ত্রাসীরা বাড়ির লোহার দরজা ভাঙ্গতে না পের বাড়ির পিছন দিয়ে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে। পরে তারা বিল্লাল ফকিরের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে অবৈধ ভাবে তার ঘরে ঢুকে বাড়ির মহিলাদের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে জিম্মি করে আলমারির চাবি নিয়ে নগদ ১২ লাখ টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে এবং ঘরের আলমারি, ড্রেসিং টেবিল, সোকেস, মটর সাইকেলসহ যাবতীয় জিনিসপত্র ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলে। বিল্লাল ও তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা জাহিদুলকে হত্যার জন্য খোঁজ করেন। এ ব্যাপারে বিল্লাল ফকিরের স্ত্রী.. সেলিনা আক্তার শিলা ও বিল্লাল ফকির সাংবাদিকদের জানান জামাত বিএনপির একটি দল আমার ছেলে জাহিদকে কে হত্যার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। ছেলেকে হত্যার জন্যই তারা এসেছিল। ছেলেকে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। রাশেদ, ইসলাম, খাইরুল বাড়ির মহিলাদের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তাদের জিম্মিকরে আলমারির চাবি নিয়ে নগদ ১২ লাখ টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে। এই দলটি গত কয়েকদিন আগে আওয়ামীলীগ নেতা হাজী সিদ্দিকুর রহমান বাড়ি থেকে মুক্তাগাছা শহরে আসার পথে তার মটর সাইকেলের গতিরোধ করে আটকিয়ে পথি মধ্যে তাকে কোপিয়ে গুরুতর আহত করে। হাজী সিদ্দিক বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বর্তমানে এই দলটি মুক্তাগাছা শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে জনমনে ভয়ভীতি সৃষ্টি করে যাচ্ছেন বলে বিল্লাল ফকির জানান । তিনি আরো তার বাড়িতে হামলা ও লুটের ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে ।