বিরলের নাড়াবাড়ী হাটে ময়লা-আর্বজনার স্তুপ, ব্যবহারে অযোগ্য কমিউনিটি টয়লেট

দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ–উপজেলার সর্ববৃহত নাড়াবাড়ী হাটে ময়লা আর্বজনার স্তুপ গড়ে তোলেছে। ময়লা আর্বজনা পরিস্কারের কোন পদক্ষেপ নেই হাট কর্তৃপক্ষের।

জাতীয় স্যানিটেশন প্রকল্পের (৩য় পর্যায়ে) আওতায় ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর দিনাজপুর বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত কমিউনিটি টয়লেট নির্মাণের পর হতেই ব্যবহার অযোগ্য বলে ব্যবসায়ী মহলের অভিযোগ।

বিরল উপজেলা নির্বাহী অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা অনুকুল মোহন্ত জানান, চলতি অর্থ বছরে উপজেলার ০৪নং শহরগ্রাম ইউনিয়নের সর্ববৃহত নাড়াবাড়ী হাট সরকারিভাবে ৫১ লাখ টাকায় ইজারা প্রদান করা হয়েছে।

ডাকের সাথে সরকারি কর ১০% ও ভ্যাট ১৫% সহ ৬৩ লাখ টাকায় আবুল কালাম আজাদ নামের এক ব্যাক্তিকে ওই হাটটি ইজারা প্রদান করা হয়। হাটের ময়লা-আর্বজনা পরিস্কারসহ হাট রক্ষনা-বেক্ষনের দায়িত্ব হাট ইজারাদারের। ইজারাদার হাটের ময়লা আর্বজনা পরিস্কার এবং রক্ষনা-বেক্ষনে ব্যর্থ হলে ইজারাদারের বিরুদ্ধে প্রয়েঅজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও তিনি জানান।

হাট ইজারাদার আবুল কালাম আজাদের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, হাট পরিস্কার করার জন্য লোক রয়েছে। আমাকে কেউ অভিযোগ করেনি। আমি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।

অপরদিকে নাড়াবাড়ী হাট বনিক সমিতির সভাপতি রেজওয়ানুল ইসলাম বাবু জানান, এই হাটে প্রায় ৩’শর মত বিভিন্ন রকমের স্থায়ী দোকানঘর ছাড়াও দৈনিক বাজার বসে। দোকানদার ও বাজার করতে আসা জনগনের পয়নিষ্কাষনের জন্য জাতীয় স্যানিটেশন প্রকল্পের (৩য় পর্যায়ে) আওতায় ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপর দিনাজপুর বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত একটি কমিউনিটি টয়লেট নির্মাণের পর হতেই ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ে থাকলেও হাট ইজারাদার বা হাট কর্তৃপক্ষ তা সংস্কারের কোন পদক্ষেপ নেই।

হাট কর্তৃপক্ষসহ স্যানিটেশন ইন্সপেক্টরের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করে কমিউনিটি টয়লেট ব্যবহারযোগ্য করার এবং হাটের ময়লা আর্বজনা পরিস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জোড় দাবি করেছেন ভুক্তভোগিসহ এলাকার সচেতনমহল।