মুক্তাগাছা থেকে সিরাজুল হক সরকার: স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকহানাদার বাহিনীকে দমন করতে মুক্তিযোদ্ধাদের থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন ভাবে সহায়তাকারী মহেশপুর এলাকার সাধারণ জনগণ বিশেষ করে পাকাহানাদার বাহিনীর বুলেটের আঘাতে নির্মমভাবে শহীদ হাজী আবুল কাশেম আকন্দ, আক্তার আলী মুন্সীসহ বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখযোগ্য। স্বাধীনতা যুদ্ধে ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলার মুক্তাগাছা, ফুলবাড়ীয়া ও মধুপুর সিমান্তবর্তী মহেশপুর এলাকাটি ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের নিরাপদ স্থান। মুক্তিযোদ্ধার সেখানে আশ্রয়ে থেকেই উক্ত উপজেলা সমূহে হানাদার বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনায় গেরিলা হামলা করে নাস্তানাবুদ করে। মহেশপুর, খাজুলিয়া, কমলাপুর এলাকার জনসাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক সহযোগিতা করে। কিন্তু দেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও এই এলাকায় কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। এখন পর্যন্ত মহেশপুর গ্রামের এক ইঞ্চি রাস্তাও পাকা হয়নি।
শহীদ হাজী আবুল কাশেম আকন্দ এর পালকপুত্র আলী আকবর আকন্দ জানান, আমার পিতা মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার, আশ্রয় দিয়েছিল। সে কারণেই আমার পিতাকে পাকাবাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করে। এ এলাকার মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করে দেশ স্বাধীন করতে অনেক অবদান রেখেছে। অথচ মুক্তাগাছা, মধুপুর, ফুলবাড়ীয়াসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক উন্নয়ন হলেও আমাদের এ গ্রামে কোন উন্নয়ন হয়নি। মহেশপুর গ্রামের এক ইঞ্চি রাস্তাও পাকা হয়নি। তিনি সরকারের এমপি, মন্ত্রীদের কাছে শহীদ হাজী আবুল কাশেম আকন্দের বাড়ি হতে রাজাবাড়ি ধনরা মোড় হয়ে বালিয়াপাড়া, কমলাপুর, নায়াবাজার ফরেস্ট হয়ে মহেশপুর তালতলি বাজার হয়ে বালুর ঘাট পর্যন্ত রাস্তা পাকা করণের দাবি জানান। সেই সাথে ধলির খাল পুর্নঃখননের দাবি জানান।