রপান্তর বাংলা অনিয়মের বিরুদ্ধে, সত্যের পক্ষে
দিনাজপুর প্রতিনিধি// দিনাজপুর মেডিকেল হাসপাতাল মর্গে পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এই সংবাদটি পাওয়া যায় ! খরিদ্দার দোকানদারকে পিটিয়ে হত্যা করেছে মাত্র ২০ টাকা বকেয়া টাকা চাওয়ার জন্য মুদির দোকানদার মোশারফ হোসেনকে লোহার রোড ও লাঠি সোটা দিয়ে বেধোড়োক পিটানোর জন্য ঘটনাস্থলে মুদির দোকানদার মোশারফ হোসেন এর ( ৪০) মৃত্যু হয় !
শনিবার বিকেল পাঁচটায় ২৬ শে আগস্ট দিনাজপুর এম আব্দুর মেডিকেল কলেজ হাইওয়ে রোডের পাশে মর্গের পাশ দিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বাসায় যাওয়ার সময় মর্গের পাশে থাকা একটি লাশবাহী গাড়ি দাঁড়ানো দেখতে পেয়ে মোটরসাইকেলটি ব্রেক করে লাশবাহী মাইক্রোবাজের পাশে থাকা চার-পাঁচজন দাঁড়িয়েছিল তাদের কাছ থেকেই বিস্তারিত ঘটনাটি জানা যায় ! মৃত মশারফ হোসেনের ভাই তিনি জানান শনিবার দুপুরের দিকে চকধুলু নারায়নপুর গ্রামের বাসিন্দা তফিজ উদ্দিনের ছেলে নুর নবী ২০ টাকা আগের বাকি ছিল পুনরায় আবার নতুন করে আরো কিছু পণ্য বাকি নেওয়ার জন্য আমার ভাই মোশারফ হোসেনের কাছে বাকীতে আরো কিছু পণ্য কিনতে চেয়েছিল। আগের ২০ টাকা খরিদ্দার এর কাছে টাকাটা চাইতে গেলে খরিদ্দার রাগান্বিত হয় মোশারফ হোসেনকে লোহার রোড ও লাঠি সোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারতে শুরু করে!
এক পর্যায়ে মোশারফ হোসেন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যায়! মোশারফ হোসেন মাটিতে পড়ে গেলে খরিদারা দ্রুত পালিয়ে যায়! ঘটনাস্থল থেকে আশেপাশের লোকজন এসে দেখেন মোশারফ হোসেন মৃত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে! বিষয়টি লাশবাহী ড্রাইভার তিনিও জানান মৃত মশারফ হোসেনের বাড়ি দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ বিনোদনগর ইউনিয়নের চকধুলু নারায়নপুর গ্রামের মোতাহার হোসেনের ছেলে মোশারফ হোসেন !
মৃত্যু হওয়ার পর খবরটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ মৃত মোশারফ হোসেনের লাশ সূরাতাল করার পর ময়না তদন্ত করার জন্য!
দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন!
ময়না তদন্ত শেষে নিজ গ্রামে মৃত মশারফ হোসেনের আত্মীয়-স্বজন নিজ গ্রামে নিয়ে যান সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে !
সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে মুঠোফোনে বিস্তারিত বিষয় নবাবগঞ্জ থানায় কর্মরত পুলিশ ঘটনার সততা স্বীকার করে বলেছেন এটি একটি দুঃখজনক বিষয়ক ঘটনা ২০ টাকার জন্য একটি তাজা প্রাণ নিভে গেছে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি ! মৃত মোশারফ হোসেনের পরিবার সূত্রে জানা যায় মামলা করবে বলে আমরা জানতে পেরেছি!
