মুক্তাগাছায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ

৩০ কেজির বস্তায় মিলেছে সাড়ে ২৩ কেজি
জিল্লুর রহমান, ময়মনসিংহ থেকে:
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্প খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুবিধাভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘোগা ইউনিয়নে চাল বিতরণ স্থলে গিয়ে ঘটনার সত্য পেয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
বুধবার উপজেলার ৭নং ঘোগা ইনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণের নিয়োগ প্রাপ্ত ডিলার মোঃ মিরাজ উদ্দিন ৫১৭ জন কার্ডধারী সুবিধাভোগিদের মাঝে দুই কিস্তির চাল ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ করেন। এসময় ৩০ কেজি ওজনের চালের ১ হাজার ৩৪ বস্তা চালের প্রতিটিতে ওজনে কম দেয়ায় সুবিধাভোগিরা অভিযোগ করেন। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজন ইউপি মেম্বারের উপস্থিতিতে চাল ওজন দিয়ে কম দেখতে পান। ওজনে দেখা যায় প্রতি৩০কেজি ওজনের কোনটি সাড়ে ২৩ কেজি, কোনটি ২৫ কেজি এবং সর্বোচ্চ সাড়ে ২৮ কেজি ওজনের বস্তা পাওয়া যায়। পরে স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম লুৎফর রহমান ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেবেকা সুলতানা রুবী ঘটনাস্থল ঘোগা ইউনিয়নের কালিকাপুর গাবগাছতলা মোড়ে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান।

চাল বিতরণের দায়িত্বে থাকা ডিলারের ম্যানেজার সবুজ মিয়া জানান, তারা এলএসডি গুদাম থেকে নিয়মানুযায়ী চালের বস্তা নিয়ে এসেছেন। এখন দেখছেন বস্তায় ওজন ঘাটতি রয়েছে। সবুজ দাবী করেন খাদ্যগুদাম থেকে তাদেরকে এমন কম দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে ওই বস্তা আনতে বাধ্য করা হয়েছে।
সুবিধাভোগীরা জানান, প্রধানমন্ত্রী আমাদের সুবিধা চিন্তা করে কমদামে চালের ব্যবস্থা করেছেন, অথচ সেখানে এই গরীব মানুষের চালেও ওজনের কম দেয়া হয়। তারা এর তদন্তপূর্বক দায়ীদের বিচার দাবী করেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেবেকা সুলতানা রুবী গুদামে কোন অনিয়ম আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ডিলারদেরকে তো ওজন দিয়ে চাল দেওয়া হয়। তারা সেখান থেকে আনার সময় সঠিকভাবে দেখে যার যার পরিমান বুঝে নেন। কাজেই কম দেয়ার বিষয়টির জন্য ডিলারই দায়ী। সব দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম লুৎফর রহমান বলেন, ওজনে কম দেয়ার অভিযোগের বিষয়টির সত্যতা মিলেছে। কাজেই সংশ্লিষ্ট ডিলারের ডিলারশিপ বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অপরদিকে একই দিন উপজেলার খেরুয়াজানী ইউনিয়নের ভিটিবাড়ী বাজারে খাদ্যবান্ধন কর্মসূচির ২৪০ কেজি চাল পাচারের সময় আটক করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। পরে সেই চাল হতদরিদ্র ও এতিমদের মাঝে বিতরণ করা হয়।