রুপান্তর বাংলা স্পেশাল প্রতিনিধি: –জয়পুরহাটের কালাইয়ে প্রথম থেকে দ্বিতীয়, তৃতীয় ,চতুর্থ পঞ্চম, ষষ্ঠ ,সপ্তম ,অষ্টম ও নবম শ্রেণি পর্যন্ত নেই কোন শিক্ষার্থী ও দশম শ্রেণীতে দুইজন শিক্ষার্থী পাওয়া গেছে, অন্যান্য শ্রেণী ব্রেঞ্চে টেবিল চেয়ার থাকলেও পাওয়া যায়নি কোন শিক্ষার্থী, ইফতেদায়ী শাখার সবকটি শ্রেনি কক্ষের দরজা জানালা বন্ধ, নেই কোনো শিক্ষার্থী,শিক্ষকরা বসে বসে ১৮ জন শিক্ষক- কর্মচারি মোট ৩,৩২,৯,৭০ টাকা প্রতিমাসে সরকারের বেতন ভাতা নিচ্ছেন৷
গত (৩১আগস্ট) বৃহস্পতিবার এমন চিত্র দেখা গেছে বোড়াই রহিমা খাতুন দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানটির সুপারের বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ৷ কালাই উপজেলা আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের বোরাই গ্রামে বোরাই রহিমা খাতুন দাখিল মাদ্রাসাটি ১৯৮০ সালে স্থাপিত হয়ে পাঠদানের অনুমতি পায়। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮৫ সালে এমপিও ভুক্ত হয় ১৮ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়ে চলছে পাঠদান শিক্ষকদের দাবি আগামীকাল গ্রামে অনুষ্ঠান, আজ ছাত্রছাত্রী কম শিক্ষকদের দাবি মাদ্রাসায় বিধিমালা অনুযায়ী শিক্ষার্থী সংখ্যা রয়েছে৷
সরেজমিনে গিয়ে গত (৩১আগস্ট) বৃহস্পতিবার সকাল সারে ১১টায় দেখা যায় প্রথম থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত নেই কোনো শিক্ষার্থী দশম শ্রেণীর একটি কক্ষে এক পার্শ্বে বসে আছেন দশম শ্রেণীর দুই শিক্ষার্থী বেঞ্চে দাঁড়িয়ে, একজন পুরুষ শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করাচ্ছেন৷
ইফতেদায়ী শাখায় পাঁচটি শ্রেণীকক্ষ একদম ফাঁকা সবকটি শ্রেনী কক্ষে তালাবদ্ধ ইফতেদায়ী ও ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত দুইজন শিক্ষার্থীকে উপস্থিত পাওয়া গেছে৷
ইফতেদায়ী শাখার প্রধান কে ওই মাদ্রাসার সহকারি সুপার পদে সম্প্রতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ইফতেদায়ী শাখায় কোনো শিক্ষককে ও পাওয়া যায়নি। অন্য শিক্ষকরা বলছেন তারা ছুটিতে আছেন। সুপারিনটেনডেন্ট মোঃ শাহাজাহান আলী ও সহকারী সুপার কাউকে উপস্থিত পাওয়া যায়নি৷
সহকারী শিক্ষক (আশরাফুল মান্নান আমিরুল ) বলেন, সুপার গুরুতর অসুস্থ তিনি ছুটিতে আছেন৷
সকলের উপস্থিতে সুপার মোঃ শাহাজাহান আলীর সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়৷৷
এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির ব্যবস্থাপনা ও লেখাপড়ার মান ভালো না থাকায় সন্তানদের মাদ্রাসায় পড়াতে চান না অভিভাবকেরা, এলাকাবাসীর দাবি সুপারের অনিয়ম ও সভাপতির দুর্নীতির কারণে মাদ্রাসার লেখাপড়ার মান ক্ষুন্ন হচ্ছে ও কমছে শিক্ষার্থী৷ সচেতন মহল সংবাদকর্মীদের উদ্দ্যোশে অভিযোগ করে বলেন আপনারাই দেখুন এটি একটি মাদ্রাসা কোনো জায়গায় লেখা নেই এই মাদ্রাসার নাম, অন্য মাদ্রাসায় কত সুন্দর করে গেটে প্রতিষ্ঠানের নাম লিখা থাকে৷ মাদ্রসার আয় ব্যায় নিয়োগ বাণিজ্য সব অর্থ লুটপাট করে কর্তৃপক্ষ।
দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর বাবা (আনোয়ার হোসেন) জানান লেখাপড়ার মান অনেক খারাপ শিক্ষকরা তাদের মাদ্রাসায় ইচ্ছা মত যাতায়াত করেন । সুপারের অনিয়মের কারণে মাদ্রাসার এমন দূর্দশা।
এসব বিষয়েও যোগাযোগ করা হয় মাদ্রাসার সুপার শাহাজাহান আলীর সাথে মুঠোফোনে বার বার যেগাযোগ করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বোরাই রহিমা খাতুন দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও আহম্মেদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আকবর এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়িটি সবে মাত্র জানলাম শিক্ষার মান ফিরিয়ে আন্তে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
আহম্মেদাবাদ বড়াই গ্রামের ইউপি সদস্য ফেরদৌস বলেন৷ গত কয়েক বছর ধরেই মাদ্রসাটিতে শিক্ষার্থী সংকট দেখা যায়। মাদ্রাসা কমিটিতে যারা রয়েছেন তাদের চোখে ছানি পরেছে বোরাইগ্রামের দ্বীন ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজ অসাধুদের দখলে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করেছে৷ আমি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তিনি এই মাদ্রাসাটি তদারকি করুক৷
কালাই উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার কাজী মোঃ মনোয়ারুল হাসান জানান আমি ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার গত (৩০আগস্ট) মাদ্রাসায় গিয়ে একই অবস্থা পেয়েছি। প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী খুবই কম উপস্থিত শিক্ষকদের শিক্ষার্থী বৃদ্ধি সহ প্রতিষ্ঠানের মান উন্নোয়নের জন্য নানা বিধি পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।