মুক্তাগাছায় দুই পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে ২৮ মামলা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: মুক্তাগাছা কুমারগাতা গ্রামে দুটি পরিবারে মধ্যে পৈত্রিক সম্পত্তির বন্টন নিয়ে ২৮ মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে, ইউনিয়ন পরিষদ ও থানাসহ একাধিক শালিস হয়েছে। এতে কোন সুরাহা হয়নি। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঘটনার বিবরণে জানাযায়, উপজেলার কুমারগাতা ইউনিয়নের কুমারগাতা গ্রামের মৃত কলিমদ্দিনের দুই পুত্র আব্দুল কাদির ও আব্বাছ আলী। ১৯৮৫ সালে জরিপে আব্বাছ আলী ও আব্দুল কাদিরের নামে ৬ দশমিক ৮৬ একর জমি রেকর্ড হয়। রেকর্ড অনুযায়ী উভই অর্ধেক অর্ধেক সম্পত্তির মালিক। তাদের সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ দেখাদেয়। এনিয়ে স্থানীয় ভাবে একাধিক শালিস অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ও ম্ক্তুাগাছা থানায় বসেও একাধিক শালিস হলেও এতে কোন সুরাহা হয়নি।
সূত্রমতে, আব্বাছ আলীর ৩পুত্র ও আব্দুল কাদিরের ৫পুত্র। আব্বাছ আলী পুত্র আনোয়ারুল ইসলামের দাবি কাদিরের পুত্র মনসুর গং অন্যায়ভাবে তাদের নামখারিজকৃত সম্পত্তির খারিজ ভাঙ্গার জন্য ৭টি মিসকেস দিয়ে হয়রানি করছে। পক্ষান্তরে আব্দুল কাদিরের পুত্র মনসুর গং এর অভিযোগ আনোয়ারুল ইসলাম গং অন্যায়ভাবে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তির ৯১নব্বাই শতাংশ জমি জবর দখল করে রেখেছে। মনুসুরের লিজদেওয়া জমিতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে ভাংচুর ও ক্ষতি সাধন করেছে। মনসুর আরও জানান, আনোয়ার গং এ পর্যন্ত তাদের নামে ২২টি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। যার মধ্যে এখনও ১৬টি মামলা চলমান রয়েছে। তাছাড়া তারা নিজেরাই অঘটন ঘটিয়ে আমারও আমার ভাইদের নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাদেরকে বিভিন্ন সময় সামাজিক ভাবে হেয়পতিপন্ন করছে। রাতের আধারে তারা নিজেরাই তাদের রোপা আমন ধান কেটে আমাদের নামে অপবাদ ছড়াচ্ছে। তিনি আরও জানান, আমার বাবা আব্দুল কাদির ও চাচা আব্বাছ আলীর নামে স্থানীয় মদন আলীর কাছ থেকে ক্রয়কৃত ৩৮শতাংশ জমি যার দাগ নং ১৯৪৪, মৌজা কুমারগাতা। উক্ত জমি আনোয়ার গং এককভাবে ভোগদখল করে আসছে। উক্ত জমির কোন অংশ আমাদের দিচ্ছে না। উক্ত জমির হিসাব দিলেই আর কোন দ্বন্দ থাকবে না বলে তিনি মনেকরেন।
উক্ত ৩৮ শতাংশ জমির বিষয়ে আনোয়ারুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ওই ৩৮শতাংশ জমি আমার বাবার নামে ক্রয়করা। জমির দলিলে ত্রæটি বিচ্যুতি থাকায় দলিল সংশোধনের জন্য বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।