ভেদাভেদ নাকি বৈষম্য বাঙালি ও মারমা জাতি পেটের জ্বালা নিবারণের জন্য কষ্ট করে -ইএলইএফপিএস– চেয়ারম্যান

রূপান্তর বাংলা – আব্দুর রাজ্জাক/ কাদের
শিক্ষা শ্রম বন ও পরিবেশ রক্ষা সোসাইটির চেয়ারম্যান জনাব রিয়াজ উদ্দিন রানা একান্ত আলাপচারী তাই বলেন জাতিগত ভেদাভেদ কমে আসলেও বৈষম্য বেড়ে গেছে দিগুন থেকে দ্বিগুণ। আজ থেকে প্রায় ২০-৩০ বছর আগে জাতিগত ভেদাভেদ বেশি ছিল বর্তমান সময় সেই ভেদাভেদ কমে এসেছে তবে বৈষম্যের শিকার হয়ে পড়েছে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ।
তিন পার্বত্য এলাকায় সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত নিপীড়িত বৈষম্যর শিকার বাঙালি ও মারমা জনগোষ্ঠী
তারা শিক্ষা দীক্ষায় বুদ্ধিতে কম নয় তবে তথাকথিত চুক্তির কারণে বৈষম্যের আড়াল হয়ে পড়েছে মারমা ও মুসলিম জনগোষ্ঠী। পেটের খুদা নিবারণের জন্য – জীবিকা নির্বাহের জন্য পাহাড় জঙ্গল নদী নালাখাল বিল পাড়ি দিয়ে নিজ হাতে লাগানো ফসল বিক্রির জন্য আসেন সমতল বাজার বা জনবহুল এলাকায়, পাহাড়ের দুর্গম এলাকা হতে সমতল বা বাজারে আসতে অনেক সময় লেগে যায় তাই তারা পূর্বে থেকেই অন্তত ৪/৫ ঘন্টা- কেউ কেউ সন্ধ্যা বিকালের সময় দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে জনবহুল এলাকা বা বাজারে এসে বিছনা বিছিয়ে রাস্তায় শুয়ে থাকেন। তবে তারা আগে যাওয়ার কারণ হলো সঠিক সময়ে নির্দিষ্ট স্থান দখল করার জন্য অর্থাৎ ঐসব বাজারে বা স্থানে
যে আগে যাবেন সে তার ইচ্ছামত স্থানে বসবেন , সপ্তাহের দুইদিন বা প্রতি সপ্তাহে একদিন এভাবেই তাদের চলা। বাঙালিরা পাহাড় থেকে লাকড়ি কেটে সেই লাকি মাথাই করে নিয়ে বাজারে বিক্রি করেন, এযে কি কষ্ট চিন্তা করে দেখুন বাঙালি ও মারমা জনগোষ্ঠী কতটুকু কষ্টে তারা আছে তারা তাদের জীবিকা নির্বাহ করার জন্য কত কষ্টই না করে যাচ্ছে
শিক্ষা দীক্ষায় বর্তমান অবস্থা ভালো হলেও চাকরিতে মারমা ও বাঙ্গালীদের অবস্থান খুবই কম।
রাঙ্গামাটি শহরে সাপ্তাহিক ভাসমান হাট বসে দু-দিন। সবচেয়ে বড় বাজারটি কলেজ গেইট হতে শুরু হয়ে কল্যাণপুর-দেবাশীষ নগর-স্টেডিয়াম এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। অনেকেই বিক্রীর সামান্য একটু ভাল পজিশন পাওয়ার জন্য, আর অনেকেই দূরত্বের কারণে মধ্যরাত হতেই চলে আসে। আর ভোরের অপেক্ষায় ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়ে যায়।